শহরে রক্ষা বাঁধের উপর রাস্তা নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে। কক্সবাজার পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় এডিবির অর্থায়নে ইউজিএফ-৩ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১৫ কোটি টাকার ব্যয়ে এই রাস্তা নির্মাণের কাজ শেষ হলে শহরের বাইরে থেকেই বিভিন্ন যানবাহন অনায়াসে খুরুশকুল ব্রীজ সংলগ্ন রাস্তায় হয়ে শহরে আসা যাওয়া করতে পারবে।
এতে সময় এবং অর্থ দুটোই সাশ্রয় হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। পৌর কর্তৃপক্ষের দাবী আগামী মার্চ মাসের মধ্যে মাঝিরঘাট হতে কস্তুরাঘাট পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,শহরের পেশকার পাড়া,টেকপাড়া মাঝির ঘাট সহ বিভিন্ন এলাকায় বাকঁখালী নদীর পাশ দিয়ে মেঠো পথে এখন নালা নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে বিভিন্ন জায়গায় মাটি ভরাটের কাজ চলছে। সেখানে কর্মরত আনোয়ার এক সাইড প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে জানা গেছে,কক্সবাজার পৌরসভার হয়ে ঠিকাদারের পক্ষ থেকে তিনি এই কাজের তদারকি করছেন। তবে মূল কাজ করছে কক্সবাজার পৌরসভা।
তিনি জানান,শহরের মাঝিরঘাট থেকে কস্তুরাঘাট পর্যন্ত এই রাস্তা র্নিমাণের জন্য ইতি মধ্যে সীমানা নির্ধারণ থেকে শুরু করে রাস্তায় নালা নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে এখন বিভিন্ন স্থানে মাটি ভরাটে কাজ চলছে এর পরে ঢালাই কাজ চলবে
এ ব্যপারে কক্সবাজার পৌরসভার উপ সহকারী প্রকৌশলী টিটন দাশ বলেন, এশিয়ান ডেভেলাপমেন্ট ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ইউজিএফ-৩ প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার পৌরসভার ব্যবস্থাপনায়,বাকঁখালী নদীর পাশ ঘেঁষে বয়ে যাওয়া শহর রক্ষাবাঁধের উপর আরসিসি রাস্তা নির্মাণ কাজ চলছে।
২ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের প্রায় কাজ শেষ পর্যায়ে প্রায় ১৫ কোটিটাকা ব্যায়ে এই কাজ আশা করা হচ্ছে ২০২২ সালের মার্চ মাসের মধ্যে শেষ হতে পারে।
এদিকে টেকপাড়া এলাকায় মোজাহেরুল ইসলাম আনু,মোহাম্মদ রফিক সহ অনেকে বলেন,কক্সবাজারে এখন ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড চলছে তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন কাজ আমাদের মতে শহর রক্ষাবাঁেধর উপর রাস্তা নির্মাণ কাজ। কারণ এই রাস্তা নির্মাণ হলে সাধারণ মানুষ অনায়াসে কস্তুরাঘাট থেকে মাঝিরঘাট এসে খুরুশকুলে রোড় হয়ে সব দিকে চলে যেতে পারবে।
এতে প্রধান সড়কের উপর চাপ কমবে আর মানুষেরও সময় এবং অর্থদুটোই বাঁচবে। এক কথায় যাতায়াত ব্যবস্থার জন্য খুবই দারুন একটি কাজ হচ্ছে।
কক্সবাজার পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার দিদারুল ইসলাম রুবেল বলেন,শুধু কাজ করলে হবে যে কোন কাজ হতে হয় পরিকল্পিত এবং ভবিষ্যত চিন্তা করে।
আমাদের বতর্মান পৌর মেয়রের দূরদর্শী চিন্তা ভাবনার অংশ হিসাবে শহর রক্ষাবাঁধের উপর যে রাস্তা হচ্ছে তা ভবিষ্যতে কক্সবাজার পৌরবাসীর জন্য আর্শিবাদ সরুপ হবে। কারন এই রাস্তা দিয়ে কোন প্রকান যানজট ছাড়াই ছোটখাট গাড়ী আসা যাওয়া করতে পারবে। এছাড়া নদীর পাশে হওয়াতে এই রাস্তা অনেকটা পর্যটকদের জন্য দৃষ্টি নন্দন হবে।
এ ব্যপারে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন,আমি কক্সাজারের মাটির সন্তান,আমাকে এখানেই থাকতে হবে। তাই আমি সার্বক্ষনিক চেস্টা করছি কক্সবাজার শহরবাসীর জন্য স্থায়ী কিছু করে যেতে। বর্তমানে পুরো পৌর শহরে উন্নয়ন কাজ চলছে,যদি কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে তবে আমি মনে প্রাণের বিশ্বাস করি সব কাজ শেষ হলে আগামী ২০ বছর কক্সবাজারের উন্নয়নের কাউকে হাত দিতে হবে না।
সাধারণ মানুষ সস্তি পাবে। আর শহর রক্ষাবাঁেধর উপর যে রাস্তা নির্মাণ কাজ হচ্ছে সেটা আমার একটি বড় স্বপ্ন,এই রাস্তা হয়ে গেলে শুধু পৌরসভার মানুষ নয় পার্শবর্তী কয়েক ইউনিয়নের মানুষ অনায়াসে শহরে প্রবেশ এবং বের হতে পারবে। খুবই কম সময়ে মানুষ নির্ধারিত গন্তব্যে যেতে পারবে।
Discussion about this post