মালয়েশিয়ায় করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী খায়রি জামালুদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে ওমিক্রন ধরন নিয়ে শঙ্কার মুখে ৯ দেশ থেকে ভ্রমণকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নেপাল। শুক্রবার থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার নেপালের মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়। মন্ত্রিসভার নির্দেশনা অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানা, জিম্বাবুয়ে, নামিবিয়া, লেসোথো, ইসোয়াতিনি, মোজাম্বিক, মালাউয়ি ও হংকং থেকে কোনো ভ্রমণকারী নেপালে প্রবেশ করতে পারবেন না
। সেই সাথে নিষেধাজ্ঞা থাকবে গত তিন সপ্তাহের মধ্যে দেশগুলোতে ভ্রমণ করেছেন এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফদিন্দ্রমণি পোখরেল জানান, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশগুলো থেকে কোনো কূটনৈতিক কর্মকর্তা নেপালে আসতে চাইলে তাদের এক সপ্তাহের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনসহ স্বাস্থ্যসংক্রান্ত নানা নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে বলে জানান মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা।
এদিকে মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জামালুদ্দিন বলেন, গত ১৯ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে আসা ১৯ বছরের এক তরুণীর দেহে ওমিক্রন শনাক্ত হয়।
তিনি জানান, ওই তরুণী মালয়েশিয়ার পেরাক প্রদেশের রাজধানী শহর ইপোহতে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তিনি করোনা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজই নিয়েছিলেন।
২৯ নভেম্বর মুক্ত হওয়ার আগে ওই তরুণী ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখানে একটি বিষয় লক্ষ্যণীয় যে, গত ১৯ নভেম্বর এই করোনা আক্রান্ত তরুণী মালয়েশিয়ায় এসেছেন। তখনও দক্ষিণ আফ্রিকা ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার খবর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানায়নি।
এর আগে বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার প্রতিবেশি দেশ সিঙ্গাপুরে দুজনের ওমিক্রন শনাক্ত হয়। চলতি সপ্তাহে মালয়েশিয়া দক্ষিণ আফ্রিকাসহ এর আশাপাশের আটটি দেশের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
এদিকে ওমিক্রনের ঝুঁকির মুখে দেশের অভ্যন্তরেও নানা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে নেপাল সরকার। খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজনকে দেশত্যাগ না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বিদেশ ভ্রমণের আগে বাধ্যতামূলকভাবে অনুমতি নিতে হবে সরকারি কর্মচারীদের।
ডিএস
Discussion about this post