পর্যটকদের কাছে কক্সবাজার মানেই সমুদ্র সৈকতে গা ভাসাতে ছুটে যাওয়া। প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটক ভিড় করে কক্সবাজারে। অতীতের তুলনায় বর্তমানে কক্সবাজারে অনেক উন্নয়ন ঘটেছে। পাঁচ তারকা হোটেল থেকে শুরু করে নানা ধরনের রেস্টুরেন্টসহ প্যারাসেইলিংয়েরও সুব্যবস্থা আছে সেখানে।
এরই জের ধরে এবার কক্সবাজার সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে যাত্রা শুরু করেছে ‘ফ্লাই ডাইনিং’ নামের একটি উড়ন্ত রেস্তোরাঁ। এটিই দেশের প্রথম উড়ন্ত রেস্তোরাঁ। যেখানে আকাশে ভেসে ভেসে খাবারের স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা।
সুগন্ধা পয়েন্টের হোটেল সি প্রিন্সেসের পাশের প্লটে দৃষ্টিনন্দনভাবে বসার পর্যাপ্ত স্থান রেখে চালু করা হয়েছে এই রেস্তোরাঁ। এর পশ্চিম পাশের খালি স্থানে বসানো আছে একটি ক্রেন।
বিশেষ এক পাটাতনে ২০ জনের ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ডাইনিং টেবিল-চেয়ারের উপরে ছাতার মতো এক ধরনের ছাদ দিয়ে চারপাশ খোলা রাখা হয়েছে।
অ্যালুমেনিয়াম ও স্টিলের সমন্বয়ে তৈরি ক্রেনের মাথায় লাগিয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে উড়ন্ত রেস্তোরাঁর পাটাতন। পছন্দমতো খাবার অর্ডারের মাধ্যমে উড়ন্ত ডাইনিংয়ে বসে খাবার খেতে পারবেন।
এ সময় সমুদ্র সৈকত থেকে থেকে ১৬০ ফিট উপরে তুলে চারদিকে ঘুরতে ঘুরতে থাকবে পাটাতন। তখন উঁচুতে বসে উপভোগ করতে পারবেন সৈকত ও এর আশপাশের দৃশ্যও।
উড়ন্ত রেস্তোরাঁয় খেতে জনপ্রতি খরচ পড়বে সর্বনিম্ন ৪ হাজার টাকা থেকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা। পাটাতনে ওঠা, আকাশে উড্ডয়ন এবং অবস্থান ও নেমে আসার সময়সহ প্যাকেজের পরিধি এক থেকে দেড় ঘণ্টা।
দেশের প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতির এই ‘ফ্লাই ভাইনিং’ নির্মাণ করেছে আন্তর্জাতিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ‘ইউর ট্রাভেলস লিমিটেড’। এখানে খাবার গ্রহণের সময় বাড়তি আনন্দ উপভোগ করবেন গ্রাহকরা।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বের) সন্ধ্যায় সৈকত পাড়ের সুগন্ধা পয়েন্টে এ রেস্তোরাঁর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনীতে জানানো হয়, সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে অত্যাধুনিক মেশিনের ক্রেন ব্যবহারের মাধ্যমে উড়ন্ত রেস্তোরাঁটি অতিথিদের আপ্যায়ন করবে। এই ব্যতিক্রম আয়োজন পাল্টে দেবে কক্সবাজারের পর্যটন আবহ।
বাংলাদেশে প্রথম হলেও উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এমন রেস্তোঁরা অনেক আগে থেকেই চালু আছে। রোমাঞ্চকর অনুভূতি পেতে অনেকেই ভিন্নধর্মী এমন রেস্তোরাঁয় ভিড় করেন।
Discussion about this post