নিউ ইংল্যান্ড (বোষ্টন) বিএনপির সভাপতি সৈয়দ বদরে আলম সাইফুলের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক আলী হায়দার মনসুরের সঞ্চালনায় উক্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, শুধু বিএনপি নয়, দেশ-বিদেশের সকল মানুষ তার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে আন্দোলন করছেন। তিন-তিন বারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা সত্বেও সরকার তার চিকিৎসার উদ্যোগ নিচ্ছে না।
সভাপতি সৈয়দ বদরে আলম সাইফুল বলেন, বিনা ভোটে নির্বাচিত এ জালিম সরকারের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করার সময় এসেছে। এদেশের গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য, এদেশের মানবাধিকারের জন্য, দেশের জনগণের কথা বলার জন্য খালেদা জিয়া সারাজীবন লড়াই সংগ্রাম করে গেছেন। কিন্তু আজ দুঃখের বিষয়, তার চিকিৎসার বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
সাধারন সম্পাদক আলী হায়দার মনসুর বলেন, আজ বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠছে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার প্রশ্নে। দ্রুত আপনারা খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।
নিউ ইংল্যান্ড (বোষ্টন) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও উপদেষ্টা কাজী নুরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের আওয়ামী ফ্যাসিবাদ এখন পৃথিবীতে দৃষ্টান্তহীন নির্মমতার ভয়ানক রূপে আত্মপ্রকাশ করেছে। গণতন্ত্র উদ্ধারের অবিসংবাদিত এই নেত্রী শত নির্যাতনের মুখেও নিজ লক্ষ্যে স্থির থেকেছেন। তাকে বিন্দুমাত্র টলানো যায়নি। গণতন্ত্র, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতাসহ জনগণের জীবনমানের উন্নতির জন্য তার অবদান অবিস্মরণীয়।
ফ্যাসিবাদ আজ উগ্র রূপ ধারণ করেছে বলেই দেশের বৃহত্তম দলের নেত্রী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ধুঁকছেন। ফ্যাসিস্টরা সহমর্মিতা, সহানুভূতির ধার ধারে না। এরা নির্দয় দমন-পীড়নে সব সমালোচনা ও বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার কাজেই ব্যাপৃত থাকে।
নিউ ইংল্যান্ড (বোষ্টন) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক ও সিনিয়র সহ-সভাপতি সোহরাব এইচ খান বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে অবিলম্বে তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে জোর দাবি জানাচ্ছি। এক প্রচণ্ড ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে দেশনেত্রীর জীবন। দেশে চিকিৎসা দেয়ার মতো আর কিছু বাকি নেই। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষা করতে হলে অবিলম্বে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন প্রয়োজন।
সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ রাজ্জাক হোসেন বলেন, ভাবতে অবাকও লাগে, লজ্জাও লাগে, তিন বারের প্রধানমন্ত্রী তার সুচিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার জন্য বিক্ষোভ, সমাবেশ করতে হয় দলের পক্ষ থেকে, কি নিষ্ঠুর, কি অমানবিক, বর্তমান সরকার একটু মানবিক ও দরদী হলেই পৃথিবীর কোন শক্তি ও বাধা হতে পারবে না দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সহ-সভাপতি আবুল বশর, উপদেষ্টা তানভীর নেওয়াজ, উপদেষ্টা তারেক আহমেদ রুবেন, উপদেষ্টা মাহবুবুর রহমান ডিউক, উপদেষ্টা কাজী নুরুজ্জামান, সভাপতি সৈয়দ বদরে আলম সাইফুল, সাধারন সম্পাদক আলী হায়দার মনসুর, সহ-সাধারন সম্পাদক আশরাফুল আলম টিটু, সিনিয়র সহ-সভাপতি সোহরাব এইচ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ রাজ্জাক হোসেন, স্থানীয় সমাজকর্মি রেজাউল করিম, প্রকৌশলী আব্দুল গনি, ছাত্রদল সভাপতি আল আমিন, ফারুক তালুকদার, সদস্য মনিরুল হাছান, ইকবাল উদ্দিন ও শিশুবক্তা সৈয়দ জারীফ আলম প্রমুখ।
Discussion about this post