বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ক্রিকেট খেলার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তবে এবার তাকে নিয়ে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পেয়েছে যে তিনি এবার ব্যাংক ব্যবসায় নামছেন। আর এবার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা করেন। তার এই সাক্ষাৎ এর বিষয়ে বিস্তারিত সংবাড প্রকাশ পেল।
ব্রোকারেজ হাউজ ও কাঁকড়া চাষের পর এবার ব্যাংক খাতে যুক্ত হতে যাচ্ছেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে সাকিব সাক্ষাৎ করেন বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম। তবে কী কারণে সাকিব সাক্ষাৎ করেছেন সেটি জানাতে পারেননি তিনি।
অন্যদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাতকালে নতুন লাইসেন্স প্রাপ্তির অপেক্ষায় থাকা পিপলস ব্যাংকের মালিকানায় আসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা বলেন সাকিব।
সাকিবের ছিলেন ব্যাংকটির প্রধান উদ্যোক্তা এম এ কাশেম। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মো. নাসের এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সাকিবের একটি ছবি প্রকাশ পেয়েছে। যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে একটি ব্যাগ ও মাস্ক হাতে হাস্যেজ্জ্বল দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারকে।
লাইসেন্স প্রাপ্তির অপেক্ষায় থাকা পিপলস ব্যাংকের সঙ্গে সাকিব ও তাঁর মা শিরিন আক্তার যুক্ত হচ্ছেন বলে সম্প্রতি বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়েছে। তাঁদের দুজনকে পরিচালক পদে অন্তর্ভুক্ত করে এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে নথিপত্র পাঠিয়েছে পিপলস ব্যাংক।
পিপলস ব্যাংকের প্রধান উদ্যোক্তা এম এ কাশেম বলেন, ‘সাকিব আগে থেকেই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাই তিনি আমাদের সঙ্গে আসতেই পারেন।’
উল্লেখ্য, নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স পাওয়ার শর্ত হিসেবে উদ্যোক্তাদের ৪০০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন জোগানের কথা বলা হয়েছিল। আর কার্যক্রম শুরুর এক বছরের মধ্যে তা ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত করতে হবে। অন্যদিকে উদ্যোক্তা হিসেবে কোনো ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হতে হলে প্রয়োজন হয় সর্বনিম্ন ২ শতাংশ শেয়ারের। পিপলস ব্যাংকের প্রতিটি পরিচালক পদের জন্য সর্বনিম্ন ১০ কোটি টাকা মূলধন জোগান দিতে হবে। জানা গেছে, ব্যাংকটির মালিকানায় আসতে ২৫ কোটি টাকারও বেশি মূলধন জোগান দিচ্ছেন সাকিব।
এদিকে, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল বর্তমানে নিউজিল্যান্ড রয়েছে। তবে জাতীয় দলের সঙ্গে যায়নি বিশ্ব সেরা এই ক্রিকেটার। তিনি দেশেই রয়েছেন। আর এবার ব্যাংক খাতে যুক্ত হতে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। আর এর আগে তিনি দুইটা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি তিনি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকছেন।
Discussion about this post