নতুন বছরে আকাশ-সড়ক-রেল ও নৌপথ নিরাপদ রাখতে সেভ দ্য রোড-এর দফা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। আকাশ-সড়ক-রেল ও নৌপথ দুর্ঘটনামুক্ত রাখার লক্ষ্যে একমাত্র স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন সেভ দ্য রোড-এর চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম, প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী, মহাসচিব শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায় ও জিয়াউর রহমান জিয়া ২ জানুয়ারি এক যৌথ বিবৃতিতে উল্লেখ করেন- গত ১৪ বছর ধরে ৪ পথ দুর্ঘটনামুক্ত রাখতে গবেষণা-সচেতনতা তৈরি এবং রাজপথে গণমূখি কর্মসূচি ভিত্তিক পথচলায় আমরা বারবার যে ৭ দফা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি, সেই ৭ দফা বাস্তবায়ন হলেই ৪ পথই দুর্ঘটনামুক্ত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। সেই ৭ দফা হলো- ১. বঙ্গবন্ধু ফুটবল লীগের খেলা শেষে বাড়ি ফেরার পথে সড়কপথ দুর্ঘটনায় নিহত অর্ধশত শিশু-কিশোর-এর স্মরণে ১১ জুলাইকে ‘দুর্ঘটনামুক্ত পথ দিবস’ ঘোষণার মধ্য দিয়ে সচেতনতা তৈরিতে রাষ্ট্রিয় ভূমিকা পালন। ২. ফুটপাত দখলমুক্ত করে যাত্রীদের চলাচলের সুবিধা দিতে হবে। ৩. সড়কপথ পথে ধর্ষণ-হয়রানি রোধে ফিটনেস বিহীন বাহন নিষিদ্ধ এবং কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ ও জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যতিত চালক-সহযোগি নিয়োগ বন্ধে সংশ্লিষ্ট সকলকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ৪. স্থল-নৌ-রেল ও আকাশ পথ দুর্ঘটনায় নিহতদের কমপক্ষে ১০ লাখ ও আহতদের ৩ লাখ টাকা ক্ষতি পূরণ সরকারীভাবে দিতে হবে। ৫. ‘ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স রুল’ বাস্তবায়নের পাশাপাশি সত্যিকারের সম্মৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে ‘ট্রান্সপোর্ট পুলিশ ব্যাটালিয়ন’ বাস্তবায়ন করতে হবে। ৬. পথ দুর্ঘটনার তদন্ত ও সাজা ত্বরান্বিত করণের মধ্য দিয়ে সতর্কতা তৈরি করতে হবে এবং ট্রান্সপোর্ট পুলিশ ব্যাটালিয়ন গঠনের পূর্ব পর্যন্ত হাইওয়ে পুলিশ, নৌ পুলিশ সহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতা-সহমর্মিতা-সচেতনতার পাশাপাশি সকল পথের চালক-শ্রমিক ও যাত্রীদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। ৭. ইউলুপ বৃদ্ধি, পথ-সেতু সহ সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়ে দূর্নীতি প্রতিরোধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যাতে ভাঙা পথ, ভাঙা সেতু আর ভাঙা কালভার্টের কারণে নতুন করে কাউকে প্রাণ দিতে না হয়।
বিবৃতিতে সেভ দ্য রোড নেতৃবৃন্দ আরো উল্লেখ করেন বছরের প্রথম দিনেই সারাদেশে আমরা ছোট-বড় ২ শ ৩৩ টি সড়কপথ দুর্ঘটনায় হারিয়েছি ২৬ জনকে; আহত হয়েছেন ১ শ ৩৭ জন। বছরের প্রথম দিনের মত যেন অন্যান্য দিনগুলো না হয়; সেই প্রত্যাশায় আমরা চাই- পথ দুর্ঘটনার সাথে সাথে দুর্নীতিমুক্ত তদন্ত; চাই বিচারের সংস্কৃতি। একই সাথে আমরা সার্জেন্ট মহুয়ার বাবা মনোরঞ্জন হাজংকে আহতকারী ঘাতক চালকের দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও দুর্ঘটনার সিসি ফুটেজ জনগনের সামনে নিয়ে এসে সত্য ঘটনার দ্বার উন্মোচনেরও দাবি জানাচ্ছি। যাতে করে কোন ঘাতক চালক আর পথে দুর্ঘটনা ঘটনোর নূন্যতম সাহসও না পায়; বরং সকল চালক যেন নিজেকে নিয়ে, অন্যদেরকে নিয়ে ভেবে সতর্কতার সাথে পথে চলে।
Discussion about this post