একজন শিক্ষক হয়েও নিজ বাবাকে লাথি মেরে ছিলেন তিনি। তার শাস্তি হিসেবে এখন রয়েছে কারাগারে। গত ১৪ অক্টোবর ‘বাবাকে লাথি মারায় শিক্ষক গ্রেপ্তার’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল।
পাবনার চাটমোহরে বাবাকে লাথি মেরে কারাগারে থাকা সেই স্কুলশিক্ষক মো. মজনুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মজনুর রহমান চাটমোহর সরকারি আরসিএন অ্যান্ড বিএসএন মডেল হাই স্কুলের ভোকেশনাল শাখার ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর।
গত বুধবার স্কুলের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সৈকত ইসলাম নির্দেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জমি লিখে না দেওয়ায় ১২ অক্টোবর শিক্ষক মজনুর রহমান তার বাবা হাজি মো. আতাউর রহমানকে তার কর্মস্থল মহেলা বাজার ডাকঘরে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও কিলঘুসি মারেন। একপর্যায়ে অফিসের কাগজপত্র তছনছ করে ডাকঘরের মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেন। এ সময় বাধা দিলে তিনি তার বাবাকে প্রকাশ্যে কিলঘুসি ও লাথি মারেন। পরে আশপাশের লোকজন এসে শিক্ষক মজনুকে নিবৃত করেন। আতাউর রহমানকে চাটমোহর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরদিন হাজি মো. আতাউর রহমান চাটমোহর থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ রাতেই মজনুর রহমানকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়। বর্তমানে মজনুর রহমান জেলহাজতে। এদিকে বাবাকে লাথি মারার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
চাটমোহর সরকারি আরসিএন অ্যান্ড বিএসএন হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস ছালাম জানান, স্কুলের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সৈকত ইসলাম এক আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।
Discussion about this post