সিলেটে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণের চেষ্ঠায় মামলায় দু’জন আটক আটক করেছে কতোয়ালী পুলিশ। শুক্রবার (৭ জানুয়ারী) তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার পুরো বর্ণনা দিয়ে সিলেট কোতায়ালী মডেলন থানায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করা করেন বৃহস্পতিবার রাতে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতেই ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত আবু আহমদ ও সোনিয়াকে গ্রেফতার করলেও অপর আসামী আবদুল হাই পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
ওসি আরো জানান, ওই বাসা থেকে কিছু মাদকও উদ্ধার করা হয়েছিলো। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মাদক আইনে আলাদা মামলা করেছে।
জানা যায়, সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার তরুণী সোনিয়া বেগম তার প্রবাসী চাচাতো ভাই আবদুল হাই (৩৮)-এর হাতে কৌশলে ওই ছাত্রীকে তুলে দেন। বুধবার সোনিয়া ওই ছাত্রীকে জানান, তার চাচা-চাচি যুক্তরাষ্ট্র থেকে সিলেটে এসেছেন। বর্তমানে তারা নগরীর একটি বাসায় থাকছেন। তাদের বাসায় সোনিয়া বুধবার রাতে থাকবেন। বান্ধবীকেও (ভিকটিম) তার সঙ্গে থাকতে জোর খাটান। বান্ধবীর আবদারে তার সঙ্গে ওই বাসায় যান বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া ওই ছাত্রী। কিন্তু সেখানে চাচা-চাচি নন, ছিলেন ওই বান্ধবীর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী চাচাতো ভাই। কিছুক্ষণ পর ওই প্রবাসী আবু আহমদ নামে তার এক খালাতো ভাইকে ওই বাসায় ডেকে আনেন। পরে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে একটি কক্ষে প্রবাসী ও তার খালাতো ভাই ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী সেই কক্ষ থেকে দৌঁড়ে গিয়ে পাশের কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। পরে তিনি মুঠোফোনে বিষয়টি তার এক ছেলে সহপাঠীকে জানান। ওই সহপাঠীর মাধ্যমে খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছাত্রীকে উদ্ধার করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ওই ছাত্রীর বান্ধবী সোনিয়া ও প্রবাসীর খালাতো ভাই আবু আহমদ (৩৫) কে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে সোনিয়ার প্রবাসী চাচাতো ভাই আবদুল হাই (৩৮) পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
আবুল কাশেম রুমন
সিলেট প্রতিনিধি