মহামারি করোনার থাবায় আবারও কাঁপতে শুরু করেছে চট্টগ্রাম। একদিনে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭৪২ জনের। যা পূর্ববর্তী দিনগুলোর তুলনায় বেশি। এভাবে সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মানছে না মানুষ।
এছাড়া এতোদিন মৃত্যুশূণ্য দিন পার করলেও চট্টগ্রামে একদিনেই করোনায় মারা গেছে তিনজন। নমুনা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। সোমবার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের সরকারি বেসরকারি ১৩ টি ল্যাবে সর্বমোট ২ হাজার ৮৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে ৭৪২ জনের ফলাফল পজিটিভ পাওয়া যায়। নমুনা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ২৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এদের মধ্যে নগরের ৫৯৭ জন আর উপজেলার ১৪৫ জন রয়েছেন। এ নিয়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৫ হাজার ৭১৯ জনে এসে দাঁড়িয়েছে। আর মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৩৮ জনে৷
চিকিৎসকরা বলছেন, করোনার উপসর্গ হিসেবে সামান্য জ্বর-সর্দি দেখা দিচ্ছে। যা ৩/৪ দিনের ব্যবধানে আবার সেরেও যাচ্ছে। এ ধরনের মৃদু উপসর্গ থাকলেও অনেকেই নমুনা পরীক্ষা করাচ্ছেন না। তারা এটিকে স্বাভাবিক সর্দি-জ্বর মনে করছেন। তবে যারা করোনা টেস্ট করাচ্ছেন, তাদের বেশির ভাগেরই করোনা পজিটিভ পাওয়া যাচ্ছে। নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়লে শনাক্তের সংখ্যাও আরও বাড়বে। যেহারে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে ওমিক্রনের প্রাধান্য থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, চিকিৎসক বলছেন, এর আগে এতো দ্রুত সংক্রমণ বাড়তে দেখা যায়নি।
মূলত, রোগীর ওমিক্রন শনাক্ত করতে হলে ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স করতে হয়। বর্তমানে ওমিক্রন সন্দেহ হলে রোগীর নমুনা পাঠাতে হচ্ছে ঢাকার ইনস্টিটিউট অব অ্যাপিডেমিওলজি ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ-এ (আইইডিসিআর)। কিন্তু ফলাফল পেতে অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘসময়। অথচ জিনোম সিকোয়েন্স করা গেলে চট্টগ্রামে ওমিক্রন আক্রান্তদের দ্রুত শনাক্ত করা যেত।
করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ওপর জোর দিচ্ছেন গবেষকরা। তবে বিভিন্ন জটিলতায় ওমিক্রন শনাক্তে কাজ করতে পারছেন না বলে জানান চট্টগ্রামের গবেষকরা।
Discussion about this post