চারটি পোশাক রপ্তানির চালানে ৬ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮৮ টাকা পাচারের অপচেষ্টা উদঘাটন করেছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ থেকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর হয়ে চালানগুলো ফিলিপাইন রপ্তানির জন্য কেডিএস লজিস্টিকস লিমিটেড নামের বেসরকারি ডিপোতে কনটেইনারে লোড করা হয়।
রাজধানী ঢাকার উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ৬৯ নং প্লটের রাজউক কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সের ঠিকানার আরএম সোর্সিং বাংলাদেশ নামের এক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের চালান এগুলো। তাদের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ছিল চট্টগ্রামের ১৬৮ সদরঘাটের বেঙ্গল প্রগ্রেসিভ এন্টারপ্রাইজ।
কাস্টম হাউসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার ডেপুটি কমিশনার মো. শরফুদ্দিন মিঞা বলেন, চারটি বিল অব এক্সপোর্টের বিপরীতে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আইএফআইসি ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি করে। রপ্তানিকারক ঘোষিত ২৪ হাজার ৩৪৪ পিসের (প্রতি চালানে ৬ হাজার ৮৬ পিস) বিপরীতে মোট ২৯ হাজার ৯৪৪ ইউরো (প্রতি পিসের ঘোষিত মূল্য ১ দশমিক ২৩ ইউরো) বা ২৯ লাখ ৬০ হাজার ২৪৮ টাকা প্রাপ্তি হতো।
তবে সঠিক ঘোষণা থাকলে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ কোটি ৯২ লাখ ২৭ হাজার ৯৫২ টাকা প্রাপ্তি হতো। অর্থাৎ রপ্তানিকারক এ চার চালানে ৬ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮৮ টাকা পাচারের অপচেষ্টা করে।
তিনি আরও বলেন, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত ১১৩টি পণ্যচালান রপ্তানি করে। এসব চালানে ঘোষণাতিরিক্ত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে অর্থপাচার হয়েছে কিনা তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনারের নির্দেশে দোষীদের চিহ্নিত করে কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯ এবং প্রচলিত অন্যান্য আইন ও বিধি অনুযায়ী কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিতে কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
Discussion about this post