সিলেটের ১৫ টি ইউপি নির্বাচনের মধ্যে ৯টিতে আওয়ামীলীগ প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। ৩১ জানুয়ারী (সোমবার) সিলেট জেলার ৫ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ ফলাফলে দেখা গেছে ১৫টির মতো ৯টি ইউনিয়নে জয়লাভ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। বাকি ৬টিতে বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। তবে- ইভিএমে ভোটগ্রহণ করে অনেক জায়গায় অসন্তোষ দেখা দেয়। এর কারণ হচ্ছে- ধীরগতিতে ভোটগ্রহণ। অনেক কেন্দ্রে ইভিএমে একটি ভোট গ্রহণে ১০-১২ মিনিট লেগেছে।
৬ষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন নির্বাচনে সিলেটের ওসমানীনগরের ৮ ইউনিয়নেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপজেলায় মোট ৩০ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৭ জনই ছিলেন প্রবাসী। বেশির ভাগ ইউনিয়নে জয়ী হয়েছেন প্রবাসী প্রার্থী। উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন তাজপুর কলেজের সাবেক ভিপি ও যুক্তরাজ্য যুবলীগ নেতা সাহেদ আহমদ মুছা, বুরুঙ্গা ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আখলাকুর রহমান, তাজপুর ইউনিয়নে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও প্রবাসী কমিউনিটি নেতা ঝলক পাল, উমরপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া, গোয়ালাবাজার ইউনিয়নে প্রবাসী নেতা পীর মজনু মিয়া, উসমানপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নেতা ওয়ালিউল্লাহ বদরুল, পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রব্বানী চৌধুরী সুমন, দয়ামীর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী এসটিইউ ফখর উদ্দিন।
গোয়াইনঘাটের আলীরগাঁও পশ্চিম ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রবাসী নেতা গোলাম কিবরিয়া হেলাল ও পূর্ব আলীরগাঁও ইউনিয়নে যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন।
দক্ষিণ সুরমার দুটি ইউনিয়নের মধ্যে একটিতেও জয় পায়নি আওয়ামী লীগ। তবে সিলেট-৩ আসনের এমপি হাবিবুর রহমান হাবিবের ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী একরামুল হক জয়লাভ করেছেন। আর তেতলী ইউনিয়নে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ওলিউর রহমান ওলি।
কোম্পানীগঞ্জের পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জিয়াদ আলী জয়ী হন। আর বিশ্বনাথের খাজাঞ্চি ইউনিয়ইেরনর সৌদি প্রবাসী আওয়ামী লীগ নতা আরশ আলী হিরণ জয় লাভ করেন। লামাকাজি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী ফয়সল আহমদ জয়লাভ করেন।
আবুল কাশেম রুমন
সিলেট প্রতিনিধি
Discussion about this post