সিলেটের মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার কৃষ্ণপুর গ্রামের মেয়ে ঝর্ণা চৌধুরী পড়া লেখায় সে মেধাবি। তার স্বপ্ন ছিলে বিদেশে গিয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করা। কিন্তু গ্রামের মানুষেরা তাকে নিয়ে কুৎসা রটনা ও নানা ধরণের আজে বাজে মন্তব্যে তাকে অতিষ্ঠ করে তুলেছিলো। সর্বশেষ তিনি তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য আমেরিকায় পাড়ি জমান গত ২৬ ডিসেম্বর। ঝর্ণা অভিযোগ করেছেন, তাকে বিদেশ পাঠানোয় দেশে তার পরিবারকে সমাজচ্যুত করেছে স্থানীয় মসজিদ কমিটি। এই অভিযোগ লিখিত ভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে দিয়েছে ঝর্ণার পরিবার।
ইউএনও জানিয়েছেন, এ ঘটনায় মসজিদ কমিটিকে সতর্ক করা হয়েছে। আর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বলেছেন, বিষয়টা ভুল বোঝাবুঝি। ঝর্ণার বাবা আব্দুল হাই চৌধুরী সোমবার (৩১ জানুয়ারী) ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
তাতে বলা হয়েছে, ঝর্ণা ২০০৮ সাল থেকে বিভিন্ন সামাজিক কাজে যুক্ত ছিলেন। একটি সামাজিক সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কও ছিলেন তিনি। নারী অধিকার নিয়ে তিনি বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। এ কারণে এলাকার কিছু মানুষের বিরাগ ভাজন হন ঝর্ণা।
আব্দুল হাই জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝর্ণার নামে কুৎসা রটান কিছু লোক। এ ঘটনায় শাহপরাণ থানায় জিডিও কওে ছিলেন ঝর্ণা। পরে গত ২৬ ডিসেম্বর উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকা চলে যান।
অভিযোগে আরও বলা হয়, আমেরিকায় অবস্থানরত ঝর্ণার ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে এলাকায় নানা অপবাদ প্রচার করে একটি গোষ্ঠি। বলা হয়, ঝর্ণা নাস্তিক হয়ে গেছেন। এরপর স্থানীয় মসজিদ কমিটি সভা ডেকে আব্দুল হাইয়ের পরিবারকে সমাজচ্যুত করার ঘোষণা দেয়। এ ঘটনায় তিনি সামাজিক ভাবে চাপে আছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় শুক্রবার (২৮ জানুয়ারী) স্থানীয় ভাটেরা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পঞ্চায়েত কমিটি আমার বাবা আব্দুল হাইকে সালিশ বৈঠক ডাকেন। গুরুতর অসুস্থ থাকায় ঝর্নার বাবা যেতে পারেননি। তাই ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদ পঞ্চায়েত কমিটি গরুত্বপূর্ণ পদে থাকা সদস্যদের নির্দেশে এ পরিবারকে এক ঘরে করে দেয়া হয়।
আবুল কাশেম রুমন
সিলেট প্রতিনিধি
Discussion about this post