জবি প্রতিনিধি: রাষ্ট্রপতি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আচার্য মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কান্ডারি গ্র্যাজুয়েট তৈরীর ক্ষেত্রে শিক্ষকদের অবদান অনস্বীকার্য। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরী করেন, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালনকে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে। বিভিন্ন লোভ-লালসা ও মোহ থেকে দূরে থাকবেন এবং পেশার মর্যাদাকে সমুন্নত রাখবেন। তাহলেই শিক্ষার্থীরা আপনাদেরকে আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করবে।”
শনিবার(১১ জানুয়ারি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ ধুপখোলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, “গ্র্যাজুয়েটদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভুদ্ধ হয়ে দেশের সকল কল্যাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সময়ের চাহিদা ও জাতির আশা আকাঙ্ক্ষার নিরিখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সুখ সগৌরবে এগিয়ে যাবে এমনটি সকলের প্রত্যাশা।
গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “দেশে বর্তমান সড়ক দুর্ঘটনা মারাত্নক ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই দেশের মানুষ যেন সড়ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে ট্রাফিক আইন মেনে চলে, ফুট ওভার ব্রীজ ব্যবহার করে সেজন্য দেশের মানুষদের সচেতন করতে হবে তোমাদেরকেই। দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি তোমাদের মাঝে লালন করবে। বর্তমান সমাজে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনকে রুখে দিতে হবে। বর্তমান সমাজের স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন পরীক্ষায় নকলের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি শিক্ষকরাও নকল করতে সহযোগিতা করছে। তোমাদেরকে এই সকল অন্যায়, অনৈতিক কর্মকাণ্ডগুলোকে রুখে দিতে হবে এবং নকল দূরীকরণে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।”
এরপর ১ম সমাবর্তনে স্নাতক ১১ হাজার ৮৭৭ জন, স্নাতকোত্তর ৪ হাজার ৮২৯ জন, এম ফিল ১১ জন, পিএইচডি ৬ জন, ইভিনিংয়ের ১ হাজার ৫৯৪ জন শিক্ষার্থীকে সনদ প্রদান করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
পদক প্রদানের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান এবং সমাবর্তন বক্তা পদার্থবিজ্ঞানে একমাত্র এমিরিটাস অধ্যাপক অরুন কুমার বসাক বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন আহমেদ। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বৃন্দ এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের উদ্বোধনের মাধ্যমে সমাবর্তন অনুষ্ঠান শুরু হয়। জবির ১ম সমাবর্তনে ১৮ হাজারেরও বেশি গ্র্যাজুয়েট অংশ নেয়।
সমাবর্তন উপলক্ষে শিক্ষার্থীরা সকাল থেকে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় অনুষ্ঠানস্থলে আসতে থাকেন। সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া কালো গাউন আর সমাবর্তন ক্যাপ পরে এসেছেন। জীবনের স্মরণীয় মুহূর্তকে ফ্রেমবন্দি করছেন তারা
Discussion about this post