সরকার লুটেরা ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষায় ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি আবারো বৃদ্ধি করেছে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
সোমবার (৭ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে দলটির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ মন্তব্য করেন।
তারা বলেন, সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেও সয়াবিনের সিন্ডিকেট ভাঙতে ব্যর্থ হয়েছে। এতে স্পষ্ট সরকার সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেনি। সিন্ডিকেটদের কাছে সরকার অসহায়। দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় ভোজ্যতেলের মূল্য দফায় দফায় বৃদ্ধি করছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, দীর্ঘদিন করোনায় জনজীবন বিপর্যস্থ, বেকারত্ব, দারিদ্রতা বৃদ্ধি পেলেও সরকারী দলের নেতা আর লুটেরা গোষ্ঠীর লুটপাট অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যেই চলছে সরকারের মূল্যবৃদ্ধির আগ্রাসন। চাল-ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি, আদা-ময়দাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষ যখন অতিষ্ঠ, তখন ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি জনজীবনকে আরো দুর্বিসহ করে তুলেছে।
তারা বলেন, সরকারের বোঝা উচিত, কোনো লুটেরা ব্যবসায়ারী কখনও সাধারণ মানুষের কথা ভাবেন না। তারা চলেন লোভ ও লাভের নীতিতে। দেশি-বিদেশি কোম্পানি একচেটিয়াভাবে ভোজ্যতেল আমদানির পর রিফাইন করে বাজারে বিক্রি করছেন। ভোজ্যতেল সিন্ডিকেট সরকারের দুর্নীতিবাজদের সমর্থন নিয়ে তেলের মূল্য বৃদ্ধি করেই চলেছেন। সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা জনগণের পক্ষে থাকবে নাকি লুটেরা ব্যবসায়ীদের পক্ষ নেবে।
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, দেশে ভোজ্যতেল উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। তেল উৎপাদনের নতুন উৎস খুঁজে বের করে দেশে ভোজ্যতেল উৎপাদনের নতুন ব্যবস্থা করতে হবে। কৃষি বিভাগকে ঢেলে সাজালে কৃষকরা দেশে ভোজ্যতেলের কৃষিপণ্য উৎপাদন করতে সক্ষম হবেন। এতে পরনির্ভরশীলতা কমিয়ে দেশকে ভোজ্যতেল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
Discussion about this post