সপ্তম ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় ভানী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। নির্বাচনের আগের রাতে আওয়ামী লীগ মনোনীত (নৌকা প্রতীকের) চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. নুরুজ্জামান ভূঁইয়া মুকুলের মৃত্যুর ঘটনায় এই নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লা নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে এই প্রার্থীর মুত্যু হয়। তবে তার মৃত্যু নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় রাতে জেলা নির্বাচন অফিস থেকে ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
মো. নুরুজ্জামান মুকুল ভানী ইউনিয়নের নোয়াগাও গ্রামের মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে এবং ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান।
মুকুলের ছোট ভাই কামরুল ইসলাম ভূইয়া জানান, রোববার সন্ধ্যায় নোয়াগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী জালাল উদ্দিন (মোটরবাইক) ও তার লোকজন একত্রিত হয়। এ সময় হাজী জালালের ভাগিনা চান্দিনা উপজেলার ছাত্রদলের সভাপতি কাইয়ুমকে দেখে বহিরাগত হিসেবে মুকুল ভূইয়া প্রতিবাদ জানালে তাদের উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কাইয়ুম মুকুলের বুকে লাথি মারলে সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লার একটি বেসরকারি হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী জালাল উদ্দিন ভূইয়া বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। তবে লাথি মারার বিষয়টি সত্য নয়। সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। পুলিশ তার ভাগিনা কাইয়ুমকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে বলেও তিনি জানান।
জেলা নির্বাচন অফিসার মঞ্জুরুল আলম জানান, মৃত্যুর বিষয়টি যদি স্বাভাবিক মৃত্যু হয়ে থাকে তাহলে শুধু চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন স্থগিত থাকবে। আর যদি সহিংস ঘটনায় তার প্রাণহানি হয়ে থাকে, তাহলে ওই ইউনিয়নের পুরো নির্বাচন স্থগিত থাকবে।
দেবিদ্বার থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, কীভাবে মৃত্যু হয়েছে বিষয়টি এখনো আমরা নিশ্চিত হতে পারেনি। এ বিষয়ে চিকিৎসক এবং নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলাপ করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে কাইয়ুম নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সূত্র : নতুন সময়
Discussion about this post