বাংলাদেশ শেষ ওয়ানডে খেলেছে গত বছরের জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ফেব্রুয়ারিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আবার এই ফরম্যাটে ফিরছে বাংলাদেশ। দীর্ঘদিন পর পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে ফেরায় দলে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে।
দলে প্রথমবার সুযোগ পেয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয় ও ইবাদত হোসেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুজনের টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এছাড়া দলে ফেরানো হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্ত, ইয়াসির আলী চৌধুরী ও নাসুম আহমেদকে। ইয়াসির ও নাসুমের এখনো ওয়ানডে অভিষেক হয়নি। তবে তারা আগে ওয়ানডে স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন।
২০১৯ বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের স্কোয়াডে ছিলেন ইয়াসির। নাসুম ২০২০ সালে মাশরাফির অধিনায়কত্বের বিদায়ী সিরিজের স্কোয়াডে ছিলেন।
২০২১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন শান্ত। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে তার পারফরম্যান্স ছিল একদম বাজে (৩৮ রান) । এরপর তাকে ওয়ানডে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়। শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে ও নিউ জিল্যান্ড সিরিজে তাকে বিবেচনায় আনেননি নির্বাচকরা। কোনো কিছু না করেই তাকে আবার ফেরানো হলো এই ফরম্যাটে। কারণ, ব্যাখ্যায় প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেছেন, ‘শান্তকে নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ওয়ানডে ফরম্যাটে তাকে নিয়ে আমরাও যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। সে আমাদের টেস্ট ক্রিকেটের নিয়মিত খেলোয়াড়। আশা করছি পঞ্চাশ ওভারের ফরম্যাটেও সে ভালো করবে।’
নাসুম টি-টোয়েন্টি দলে বাংলাদেশের নিয়মিত মুখ। তার ওয়ানডে ভবিষ্যৎও উজ্জ্বল দেখছেন মিনহাজুল আবেদীন, ‘ধারাবাহিকভাবে নাসুম কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করে যাচ্ছে এবং আমাদের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে যথেষ্ট ভালো করছে। ওই ধারাবাহিকতায় তাকে যুক্ত করা হয়েছে। আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ওকে নিয়ে, ও ভালো করবে।’
বাংলাদেশের হয়ে জয় দুটি টেস্ট খেলেছেন। নিউ জিল্যান্ডে ঐতিহাসিক টেস্টে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ৭০ রানের ঝকঝকে ইনিংস। বিপিএলও ব্যাট হাতে রাঙাচ্ছেন জয়। কুমিল্লার জার্সিতে নিয়মিত রান পাচ্ছেন। তাতে নির্বাচকদের নজরও আটকে যায়। সীমিত পরিসরে তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখছেন নির্বাচকরা, ‘ও যেই স্টাইলে ব্যাটিং করে…আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। আমাদের মিডল অর্ডারে…যখন যেখানে টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে…ও যেই স্টাইলে ব্যাটিং করে…অনেক নির্ভরযোগ্য ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যাটিং করে। যদি এভাবেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যাটিং করে তাহলে অনেক দিন দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে।’
সাদা পোশাকে ইবাদতের ক্যারিয়ার খুব একটা উজ্জ্বল না হলেও নিউ জিল্যান্ডে বাজিমাত করেছেন। তার অসাধারণ পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ নিউ জিল্যান্ডে টেস্ট জেতে। বিপিএলে তার পারফরম্যান্স গড়পড়তা। টেস্টের সুবাদেই তার ওয়ানডে দলের দরজা খুলেছে। মিনহাজুল আবেদীন বললেন, ‘ইবাদত আমাদের নিয়মিত টেস্ট বোলার, ওকে আমরা ওয়ানডে ফরম্যাটের জন্য চিন্তা ভাবনা করছি। সার্বিকভাবে ও যেভাবে কাজ করছে আমাদের পেস বোলিং ইউনিটের সাথে, ওরা বেশ মুগ্ধ। আমরাও ওর উপর যথেষ্ট খুশি। ওর নিয়ন্ত্রণ সাদা বলের ক্রিকেটে যথেষ্ট ভালো। এ জন্য ওকে বিবেচনা করা।’
সূত্র : রাইজিংবিডি
Discussion about this post