মন্ত্রণালয় বলেছে, আগামী ৩১ জানুয়ারি নাগাদ বিদেশি শিক্ষার্থীদের মেডিকেল ভর্তির প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরই কেবল ভিসা প্রক্রিয়া শুরু করা হয়ে থাকে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কাশ্মীরী মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের নিয়ে ওই খবর প্রকাশের পর রোববার (১২ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বার্তায় এ কথা জানায়।
সংবাদমাধ্যমের খবরে অভিযোগ করা হয়, ‘বাংলাদেশে প্রবেশের ভিসা পেতে ব্যর্থ হয়ে প্রায় সাড়ে তিনশ কাশ্মীরী মেডিক্যাল শিক্ষার্থী এক মাস ধরে দিল্লি, কলকাতা, গৌহাটি ও আগরতলায় আটকা পড়ে আছেন। ভারতের অন্যান্য রাজ্যের শিক্ষার্থীরা কোনো সমস্যা ছাড়াই ভিসা পাচ্ছেন।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন্সের পরিচালক ড. সৈয়দ মুনতাসীর মামুনের পাঠানো ওই বার্তায় বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকার বাংলাদেশে আগমনেচ্ছু বিদেশি শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে সবসময় অত্যন্ত যত্নবান। ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে যেসব আগ্রহী শিক্ষার্থী বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে প্রখ্যাত সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়সমূহে অধ্যয়নের জন্য এসে থাকেন, তাদের ভর্তি, ভিসা সহজীকরণ এবং নিরাপত্তার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীকে সব প্রকার সহযোগিতা দিয়ে আসছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
‘২০১৯-২০ সালের ভর্তি প্রক্রিয়া বর্তমানে চলমান রয়েছে। সব দেশ থেকে প্রাপ্ত সব আবেদনপত্র বর্তমানে যাচাই-বাছাই ও মার্কস সমতাকরণসহ অন্যান্য কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বার্তায় বলা হয়, ‘ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কিছু অসাধু ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রাপ্তির বিষয়ে সম্পূর্ণ বানোয়াট, অবিবেচনাপ্রসূত এবং দূরভিসন্ধিমূলক প্রচারণা বিভিন্ন ওয়েব পোর্টালে প্রচার করছে। এ ধরনের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা যাচ্ছে|
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে আরও বলা হয়, যাচাই-বাছাইসাপেক্ষে আগামী ৩১ জানুয়ারি নাগাদ বিদেশি শিক্ষার্থীদের মেডিকেল ভর্তির প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরই কেবল ভিসা প্রক্রিয়া শুরু করা হয়ে থাকে।
Discussion about this post