সারা দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেড়েই চলছে, বাজারের আগুনে পুড়ছে সাধারণ মানুষ মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ শীর্ষ নেতৃদ্বয় বলেন, অভাব ও দারিদ্র্যের কশাঘাতে আজকের জনজীবন দুঃখ ও হাহাকারে পূর্ণ। মানুষের ওপর চেপে বসেছে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ঘোটক। জীবনধারণের প্রয়োজনীয় প্রতিটি দ্রব্য অগ্নিমূল্য। চাল, ডাল, মাছ, মাংস, তেল, তরিতরকারি, ফলমূল, চিনি, লবণ, গম, আটা, রুটি, বিস্কুট ইত্যাদি দ্রব্যের মূল্য আগের তুলনায় কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, দুই বছরের করোনার প্রভাবে কর্মহীন হয়েছে অনেক মানুষ, সাধারণ মানুষের আয় কমেছে। ফলে কাঁচাবাজারের লাগামহীন মূল্যে নিম্ন আর মধ্যম আয়ের মানুষের জীবন এখন বিপর্যস্থ। বর্তমানে প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য দুই থেকে চার গুণ দামে কিনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। যা ভোক্তাদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার কমে যাওয়ায় মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছে। এই পরিস্থিতিতে দ্রব্যমূল্যের বাড়তি চাপ ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, অন্যদিকে জ্বালানি ও ভোজ্যতেল, গ্যাস ও পানির মূল্যবৃদ্ধি ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’। নিজেদের অব্যব্যস্থাপনা প্রতিরোধ না করে বারবার গ্যাস-বিদ্যুত-পানির মূল্যবৃদ্ধি সরকারের গণবিরোধী অবস্থান। আসলে সরকার জনগণের দুঃখ দুর্দশাকে পরোয়া করে না। সরকারের কর্তাব্যক্তিরা দুর্নীতি করে অর্থ লোপাট করলে এর ভর্তুকি জনগণকে দিতে হয়। জনগণের ওপর করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়। গ্যাস, পানি, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করা হয়।
তারা বলেন, মানুষের জীবন যাত্রা আজ দূর্বিষহ। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন। ফলে দ্রব্যমূল্যের কারনে মানুষের জীবন জীবিকা হয়ে উঠেছে অসহনীয়। এ অবস্থায় সরকারের উচিত দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি রোধে কার্যকর ভুমিকা রাখা। মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরতে পারলে বাজারে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে পুরো দেশই মগের মুল্লুকে পরিণত হবে। এ জন্য বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকেই কঠোর হতে হবে।
Discussion about this post