যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনুষ্ঠানে প্রথবারের মতো যোগ দিয়েই হতভম্ব হয়েছেন নিউ ইয়র্ক সিটির নব নির্বাচিত মেয়র এরিক অ্যাডামস। জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাশোসিয়েশন (জেবিবিএ)গিয়াস-তারেক নেতৃত্বাধীন সংগঠনের অভিষেক অনুষ্ঠানে জনৈক প্রবাসীর অপ্রত্যাশিত ও চপেটাঘাত প্রশ্নে বিব্রত হয়ে পড়েন মেয়র এরিক। ্মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস এ খবর জানিয়েছেন।
জানা যায়, গত ১১ ফেব্রুয়ারি কুইন্সের ওয়ার্ল্ড ফেয়ার মেরিনায় জেবিবিএ’র বর্ণাঢ্য অভিষেক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি আমেরিকান সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ও কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার আমিন মেহেদী বাবু নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামসকে অপ্রত্যাশিত ও চপেটাঘাত প্রশ্ন করে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেন। এ ঘটনায় অনুষ্ঠানস্থলেই দেখা দেয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস। অনুষ্ঠানে মেয়রের আগমনের পর সবার মাঝে দেখা দেয় স্বতঃস্ফূর্ততা। অনুষ্ঠানে হাজির হয়েই মেয়রকে মঞ্চে নিয়ে যান আয়োজকরা। এরপর বক্তব্য দেন তিনি। মেয়রের বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে সম্প্রতি ওজোনপার্কে সংঘটিত মোদাসসার খন্দকার হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন করেন আমিন মেহেদী বাবু। তিনি মেয়রের কাছে জানতে চান যে, আমার প্রবাসী ভাই দুর্বৃত্তের গুলিতে মারা গেছে এ ব্যাপারে আপনি বা আপনার অফিস নীরব কেন? জবাবে মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেন, ‘আমাকে দাওয়াত দিয়ে এখানে এনে এ ধরনের প্রশ্ন করা ঠিক থাপ্পর মারার মত। মেয়রকে এমন অপ্রত্যাশিত ও চপেটাঘাত প্রশ্ন করায় তিনি বিব্রতবোধ করেন। মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সিটির আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিসহ সার্বিক উন্নয়নে কাজ করছি। এ সময় তিনি বাংলাদেশিদের সহযোগিতা কামনা করে বলেন আমি সব সময় আপনাদের পাশেই থাকব।
উল্লেখ্য, মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর বাংলাদেশি বা সাউথ এশিয়ান কমিউনিটির কোন অনুষ্ঠানে এরিক অ্যাডামসের এটিই ছিল প্রথম কোন অনুষ্ঠানে যোগদান। মেয়রকে পেয়ে আনন্দে উৎফুল্ল ছিলেন জেবিবিএ’র কর্মকর্তা সহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশি মোদাসসার খন্দকার হত্যাকান্ডের আসামীদের ধরতে পুলিশ জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন। এ ধরনের প্রশ্ন আর না করার পরামর্শ দেন মেয়র।
অপ্রত্যাশিত প্রশ্ন ও মেয়রের প্রতিক্রিয়ায় আয়োজকদের অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন আমিন মেহেদী বাবু ওপর। অনেকেই তাকে তিরস্কার করেছেন। তিনি জেবিবিএ’র সদস্য নন এমনকি তাকে উক্ত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রনও দেওয়া হয়নি। সাধারন দর্শক হিসেবেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বলে জেবিবিএ’র কর্মকর্তারা জানান। পরে মেয়রকে আলাদাভাবে বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তার কাছে ভুল ও ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে স্বাভাবিক করে তোলেন জেবিবিএ’র নেতৃবৃন্দরা।
Discussion about this post