সিলেটে রমজানে ১ লাখ ৭০ হাজার টিসিবির পণ্য কেনার সুযোগ পাচ্ছে কম আয়ের মানুষ। এসব পণ্য পেতে প্রত্যেক পরিবারকে দেওয়া হবে একটি করে কার্ড। এই কার্ডধারী পরিবারই কেবল প্রতি ১৫ দিনে একবার ২ লিটার তেল, ২ কেজি চিনি ও ২ কেজি ডাল কিনতে পারবে।
প্রকৃত নিম্নআয়ের মানুষরা যাতে ন্যায্যমূলে টিসিবির এসব পণ্য দীর্ঘ সময় ধরে লাইনে না দাঁড়িয়েই সংগ্রহ করতে পারেন সেই লক্ষ্যে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
করোনাকালে সরকার দেশের প্রায় ৩৫ লাখ পরিবারকে বিনামূল্যে খাদ্য সহায়তা দেয়। প্রথমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, এই পরিবার গুলোকেই শুধু টিসিবি পণ্যের কার্ড দেওয়া হবে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সংখ্যা কোটিতে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। ফলে সংখ্যা প্রায় তিন গুণে দাঁড়িয়েছে।
সিলেটে করোনাকালে খাদ্য সহায়তা পায় কমবেশি ৮২ হাজার পরিবার। এর মধ্যে ২০ হাজার ছিল মহানগরীতে। বাকি জেলার অন্যান্য এলাকায়। মহানগরীতে এই সংখ্যা বেড়েছে ৪৫ হাজার। সিলেট সিটি করর্পোরেশনের সম্প্রসারিত এলাকার নাগরিকরাও এই সুযোগ পাচ্ছেন অর্থাৎ কার্ড দিয়ে ন্যায্য মূল্যে টিসিবির পণ্য কিনতে পারবেন। বাকি কার্ড জেলার অন্যান্য এলাকার নিম্ন আয়ের পরিবার গুলোকে দেওয়া হবে। প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে জন প্রতিনিধিরা পরিবার গুলোকে চিহ্নিত করে কার্ড বিতরণ করবেন। আগামী ১০ মার্চ থেকে পণ্য টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হবে।
এই কর্মসূচিকে সামনে রেখে টিসিবির উপকারভোগী বাছাই ও পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জেলা মনিটরিং কমিটির এক সভা বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো মজিবর রহমান। আলোচনায় অংশ নেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোবারক হোসেন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপাপ্ত) নয়নজ্যোতি চাকমা, জেলা ত্রাণ ও পুণর্বাসন কর্মকর্তা মো নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আনিসুর রহমান খান, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, কলামিস্ট আফতাব চৌধুরী, সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আলম, ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলাম মাসুদ, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হক ও জ্যেষ্ঠ কৃৃষি বিপণন কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রতিনিধি অনুপা চক্রবর্তী।
আবুল কাশেম রুমন
সিলেট প্রতিনিধি
Discussion about this post