ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মঙ্গলবার বলেছেন, রাশিয়ার ‘হানাদারদের’ অবশ্যই থামাতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপে তিনি এ কথা বলেন। খবর এএফপি।
এক টুইটার বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা হয়েছে। এ সময় আমেরিকান নেতা রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ও ইউক্রেনকে প্রতিরক্ষা সহায়তা দেওয়া বিষয়ে আলোচনা করেন।’
‘আমাদের অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব হানাদারদের থামাতে হবে।’
হোয়াইট হাউস জানায়, দুই নেতা ৩০ মিনিট ধরে কথা বলেন। এ সময় তারা ববি ইয়ার হলোকাস্ট মেমোরিয়ালের কাছে অবস্থিত কিয়েভের প্রধান টেলিভিশন টাওয়ারে মঙ্গলবারের গোলাবর্ষণসহ বেসামরিক বিভিন্ন স্থাপনায় রাশিয়ার বিমান হামলা জোরদারের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে নাৎসিরা ববি ইয়ার গিরিখাতে ৩০ হাজারেরও বেশি ইহুদিকে হত্যা করে। এ স্মৃতিসৌধের কাছে মঙ্গলবারের গোলাবর্ষণে পাঁচজন নিহত হয়। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা এটিকে হুমকির মুখে ফেলে দেওয়ায় মস্কোকে দায়ী করেছে।
হোয়াইট হাউস জানায়, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন চলমান নিরাপত্তা সহায়তা, আর্থিক ও মানবিক সাহায্য সরবরাহ করাসহ ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের টেকসই সহায়তার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।’
এ দিকে কংগ্রেসে দেওয়া তার বার্ষিক স্টেট অফ দি ইউনিয়ন ভাষণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বাইডেন বলেছেন, স্বৈরশাসকের পতন হবে।
তিনি বলেন, পশ্চিমা বিশ্ব কীভাবে পাল্টা আঘাত হানবে, সে ব্যাপারে ভুল হিসেব করেছেন ভ্লাদিমির পুতিন।
জো বাইডেন কংগ্রেস সদস্যদের বলেছেন, ইউক্রেনে পুতিনের যুদ্ধ রীতিমতো পূর্বপরিকল্পিত। কোন ধরনের প্ররোচনা ছাড়া তিনি হামলা চালিয়েছেন। তিনি কূটনৈতিক প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
‘তিনি ভেবেছেন পশ্চিমা বিশ্ব ও ন্যাটো এর জবাব দেবে না। এবং তিনি ভেবেছেন তিনি আমাদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করবেন। কিন্তু তিনি ভুল ভেবেছেন। আমরা প্রস্তুত আছি।’
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং কানাডার পর যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমাও রাশিয়ার জন্য নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন বাইডেন।
নতুন অর্থনৈতিক অবরোধের মাধ্যমে প্রতিশোধের ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, তার কোন ধারণা নেই সামনে কী আসতে যাচ্ছে।
বাইডেনের ভাষণের সময় কংগ্রেসে অতিথিদের আসনে বসা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ওকসানা মারকারোভা। একপর্যায়ে কংগ্রেস সদস্যরা দাঁড়িয়ে তাকে সম্মান জানান।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর গত কয়েক দিনে রুশ বাহিনী দেশটির রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে ঢুকে পড়েছে।
আক্রমণের সপ্তম দিনে খারসন ও খারকিভ শহরের পতন ঘটেছে বলে একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়। দুই শহরে নিহত হয়েছে দুই শতাধিক মানুষ।
সূত্র: দেশ রূপান্তর
Discussion about this post