পাঁচ দিনের সরকারি সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (৭ মার্চ) বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিশেষ ফ্লাইট ঢাকা ত্যাগ করে।
এর আগে রোববার (৬ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, সফরে দেশটির সঙ্গে চারটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হতে পারে।
তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার। তবে বাণিজ্য ঘাটতি দেড় বিলিয়ন ডলারের মতো। বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে দেশটিতে রপ্তানি বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
মোমেন আরও জানান, দুই দেশের মধ্যে শিপিং সার্ভিস চালু এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জলবায়ু পরিবর্তনে টেকসই উন্নয়নে সহযোগিতা বাড়াতে আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের বিষয়ে দুই দেশের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের নতুন অধ্যায় শুরু করতে চায় ঢাকা।
তবে কোনো চারটি বিষয়ে আমিরাতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারক সই হতে, তা স্পষ্ট করেননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে মোমেন বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত আমাদের একটি অন্যতম বড় শ্রমবাজার। দেশটি থেকে ২০০৯ সালের পর আসা রেমিট্যান্স বিশ্বের অন্যান্য দেশের মধ্যে দ্বিতীয়। এ ছাড়া গত অর্থবছরে করোনার মধ্যে ৩০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী আমিরাতে গেছেন। ভবিষ্যতে এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এ সফরে প্রধানমন্ত্রীকে দেশটি সর্বোচ্চ সম্মান দেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) দুবাইর শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাকতুমের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে দুবাই এক্সিবিশন সেন্টার (ডিইসি)’র দুবাই এক্সপো পরিদর্শন করবেন এবং উচ্চপর্যায়ের একটি প্যানেল আলোচনার অংশ নেবেন তিনি। পরে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন ও ইউএই প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখবেন শেখ হাসিনা। এদিন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরের দিন বুধবার (৯ মার্চ) আবুধাবির যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ বিন সুলতান আল-নাহিয়ান এবং দেশটির জাতির মাতা শেখ ফাতিমা বিনতে মুবারকের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) এফএও রিজিওনাল কনফারেন্স ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক-এ যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া এদিন সন্ধ্যায় দুই দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের বিজনেস ফোরামে অংশ নেবেন।
শুক্রবার (১১ মার্চ) দেশটিতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা আয়োজিত অভ্যর্থনায় যোগ দিবেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। এ ছাড়া এদিন তিনি বাংলাদেশ ইংলিশ প্রাইভেট স্কুলের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
শনিবার (১২ মার্চ) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-১৩০২ ভিভিআইপি ফ্লাইটে দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সূত্র : আরটিভি
Discussion about this post