টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল ইউনিয়নের পড়াইখালি বিলে থেকে দু-ফসলি জমির বিশ ফুট গভীর করে মাটি কেটে ট্রাক্টর(ট্রফি) গাড়ি দিয়ে দেদারছে বিক্রি করছে ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আতোয়ার রহমান খান। ফলে নষ্ট হচ্ছে কোপাখি ডুবাইল ও নাটিয়াপাড়া দেলদুয়ার পাকা সড়ক। ভোগান্তিতে পড়েছেন স্কুলে আসা শত-শত কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা। অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন জনজীবন। ভুক্তভোগিরা স্থানীয় প্রশাসনের নিকট মৌখিকভাবে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা।
সরেজমিনে দেখাগেছে, উপজেলার দেলদুয়ার ইউনিয়নের পড়াইখালী বিলে (নাসির গ্রুপের) পিছন থেকে দুই ফসলি জমির মাটি কেটে মেসার্স ফাহিম এন্টার প্রাইজের নামে রশিদের মাধ্যমে বিক্রি করছেন ডুবাইল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য(মেম্বার) মো. আতোয়ার রহমান খান। দিন-রাত মাটি ভর্তি ট্রাক্টর চলায় বিপাকে পড়েছে পড়াইখালি স্কুলের, মদিনাতুল উলম মডেল ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও পড়াইখালি ক্যাডেট মাদ্রাসার শত-শত শিক্ষাথীরা।
পড়াইখালি স্কুলের শামিমা, নাসরিন, মমতা, আসমা খাতুনসহ একাধীক ছাত্রী জানান, বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার একমাত্র সড়কে মাটি ভর্তি ট্রাক্টর চলাচলের কারনে স্কুলে আসা-যাওয়ার খুবই কষ্টকর। ট্রাক্টর যখন আসে আমরা সড়কের নিচে দাড়াতে হয়। ট্রাক্টর যাওয়ার পর আবার সড়কে উঠে স্কুলের দিকে রওনা হই। কোপাখি মদীনাতুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসার একাধীকছাত্র জানান, মাটি ভর্তি ট্রাক্টরের দাপটে মাদ্রাসায় পড়ালেখা, নামাজ আদায় করা এবং থাকা খাওয়ার খুবই অসুবিদে হচ্ছে। খাবার যতই ঢেকে রাখি ধুলো গিয়ে খাবার নষ্ট হয়ে যায়। মাদ্রসা শিক্ষক বলেন, অসুবিদার বিষটি মেম্বার কে বলমু সেই মেম্বারই মাটি ব্যবসায়ী কার কাছে বিচার দিমু।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে একাধীক স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, প্রশাসনের সাথে আতাত করেই দিনরাত দু-ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি করছেন আতোয়ার মেম্বার। একাধীক দোকানদার ও রাস্তার প¦ার্শের বাড়ির কয়েকজন নারী বলেন, মাটি ভর্তি ট্রাক্টর চলাচলের কারনে বাড়িতে বসবাস করাই দায় হয়ে পরেছে। কার কাছে আমরা বিচার দিবো। আমাদের মেম্বার নিজেই মাটির ব্যবসা করেন।
এ বিষয়ে মাটি ব্যবসায়ী ইউপি সদস্য মো. অতোয়ার রহমান খান মুঠোফোনে বলেন, আমি দু-ফসলির জমি কেটে বিক্রি করছি তা চেয়ারম্যান জানে। তিনি আরও বলেন, রাস্তা দিয়ে ধুলা যাতে না উড়ে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিবো।
স্থানীয় ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. আবু সাদেক জানান মাটি কাটার বিষটি আমার জানা নেই খোঁজ নিয়ে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
দেলদুয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা আলী জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কামরুল হাসান
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
Discussion about this post