সিলেট জেলা জুড়ে বোরো ধানে দেখা দিয়েছে নানা রোগ ও পোকার আক্রমন। হঠাৎ করে পোকা ও রোগের আক্রমনে বিভিন্ন হাওরে সুবজ ধান ক্ষেত হয়ে যাচ্ছে হলদে রংঙের। কৃষকরা নানা ধরণের কিটনাশক ও ঔষধ ব্যবহার করার পরও তা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না। এত করে বোরো চাষ নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা। ধানের গাছে বড় ধরণের রোগ দেখা দিয়েছে।
কৃষি অফিস থেকে বলা হচ্ছে, বৃষ্টির পানির অভাবে এই রোগ দেখা দেয়। তবে সার দিলে তা কমে যাবে। তবে সার দিয়েও কোন উপকার হচ্ছে না বলে অভিযোগ কৃষকদের।
জানা যায়, সিলেট ও মৌলভীবাজারে জুড়ী উপজেলায় এ বছর প্রায় ৫৮ হেক্টর জমিতে রোবো চাষের আবাদ হয়েছে। এসব জমিতে হাইব্রিড জাত টিয়া, রুপালী, উফশী, ব্রিধান ৯২, ব্রিধান ২৮, ব্রিধান ২৯, বিআর ১৪, বিআর ৯২ জাতের ধান সহ বিভিন্ন ধরনের ধানের চাষ হয়েছে। ক্ষেতের সময় থেকে ধান কাটার সময় আসতে প্রায় ১৬০-১৮০ দিন সময় লাগে।
সিলেট জেলা কৃষি কর্মকর্তারা জানান,.শুষ্ক মৌসুম থাকার কারনে মধ্যসময়ে জমিতে দুইবার পানি দিতে হয়। এই সময় বৃষ্টি হলে ধান ভালো হয়। যাদের সেচের সুবিধা ভালো তারা সেচ দিয়ে পানি দেন। অন্যদের আশানুরুপ ধান হয় না।
ধান রোপনের পর থেকে ভালো গাছও হয়েছিল। মধ্যখানে একদিন হালকা বৃষ্টি হওয়ার কারণে কৃষকরা ছিলেন আনন্দিত। বৃষ্টি হওয়ার সাথে-সাথে চারার সৌন্দর্য ফুটেছিল কিন্তু গত কিছু দিন থেকে বৃষ্টি না হওয়ার কারনে চারার পাতা লালচে হয়ে যাচ্ছে। এ কারনে চিন্তায় পড়ে গেছেন কৃষকরা। এভাবে আরও সপ্তাহ খানেক বৃষ্টি না হলে প্রায় বেশির ভাগ ধানের চারা মরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ধানের চারার পাতায় লালচে দাগ পড়েছে,বৈজ্ঞানিক ভাবে এই রোগের নাম ব্লাস্ট। বৃষ্টি না হলে মূলত এ রোগ হয় আবার সার দিলে,বৃষ্টির পানি পেলে চারা আবার টিক হয়ে যায়। বৃষ্টি না হওয়ার কারনে সার দিয়ে ও এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাচ্ছে না।
সরেজমিনে হাকালুকি হাওরে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা তাদের জমি থেকে ঘাস সরাচ্ছেন। আলাপকালে তারা জানান, প্রথম দিকে ধানের চারা ভালো হয়েছিল দেখে মনে মনে অনেক খুশি ছিলাম। বর্তমানে চারার পাতায় লালচে রোগ দেখা দিয়েছে। এভাবে চললে একে বারেই ধান হবে না। বেশির ভাগ জমির ক্ষেতে এ রোগ দেখা যায়।
আবুল কাশেম রুমন
সিলেট প্রতিনিধি
Discussion about this post