যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার তেল, গ্যাস ও কয়লা আমদানির ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মঙ্গলবার নিষেধাজ্ঞার এই ঘোষণা দেন তিনি।
জো বাইডেন বলেন, এই পদক্ষেপের মানে হলো ‘পুতিনের নেতৃত্বকে আমেরিকার জনগণ আরও একটি বড় ধাক্কা দেবে’। আমরা পুতিনের যুদ্ধের ভর্তুকির অংশ হবো না। খবর বিবিসি অনলাইনের।
গ্যাসের দাম অত্যাধিক বাড়ার পরও এই পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বি-দলীয় রাজনৈতিকদের ব্যাপক সমর্থন রয়েছে।
এদিকে রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) একটি রূপরেখার পরিকল্পনা করেছে। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চলতি বছরেই রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানি দুই তৃতীয়াংশ কমাবে। আর ২০৩০ সালের আগে আমাদানি বন্ধ করবে।
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইইউ জানায়, চলতি বছর রাশিয়ান গ্যাস আমদানি দুই তৃতীয়াংশে নামিয়ে আনবে। আর ২০৩০ সালের আগে তেল এবং গ্যাস আমদানির সামগ্রিক চাহিদা শেষ করবে।
ইইউ আরও জানায়, রাশিয়ার বাইরে অন্য সরবরাহকারীদের থেকে পাইপ লাইনে এবং উচ্চতর এলএনজি গ্যাস আমদানি করে গ্যাস সরবরাহে বৈচিত্র্য এনে রাশিয়ান গ্যাসের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
ইইউ তার চাহিদার প্রায় ৪০ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাসের জন্য রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল। আর প্রতিবছর ইইউর আমদানি করা তেলের ২৭ শতাংশই আসে রাশিয়া থেকে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের ১৩ তম দিন চলছে। এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশের পর ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়ান সেনারা। এ অভিযানের অংশ হিসেবে স্থল, আকাশ ও জলপথে ইউক্রেনে হামলা চালানো হচ্ছে। অভিযান শুরুর পর ইউক্রেনের সেনাবাহিনীও প্রতিরোধের চেষ্টা চালাচ্ছে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলছে।
সূত্র: সমকাল
Discussion about this post