সিলেট একাদিক ঘর সংসারের সেই নারী পুলিশ কনস্টেবল রুমেনা আক্তারকে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে বদলি করা হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারী পুলিশ হেডকোয়ার্টারের এক আদেশে তাকে চট্টগ্রামে বদলি করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,চাকরিতে যোগদানের আগে রুমেনা আক্তারের সাথে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে শামসুজ্জামানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে হয়। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার ও কাজি মাওলানা মো. শাহেদ আলী এক লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়েটি রেজিস্ট্রেশন করেন। বিয়েতে কনেপক্ষ থেকে ইব্রাহিমপুর গ্রামের মো. আবু বকর মিয়ার ছেলে মো. আব্দুছ ছালামকে উকিল (সাক্ষী) নিযুক্ত করা হয়। কাবিননামায় রুমেনার বাবা বিশ্বম্ভরপুরের নতুনপাড়ার মৃত ছমির উদ্দিনের ছেলে আহাম্মদ আলী ও রুমেনার চাচা মো. আব্দুছ ছামাদ কনের পক্ষে সাক্ষী হন। আর বরের পক্ষে সাক্ষী হন শামসুজ্জামানের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম ও দিরাই উপজেলার আনোয়ারপুর নয়াহাটির আব্দুল মতলিবের ছেলে মো. আব্দুল মতিন। ওই কাবিননামায় বর শামসুজ্জামান ও কনে রুমেনা আক্তারের স্বাক্ষর রয়েছে।
নিকাহ রেজিস্ট্রার ও কাজি মাওলানা মো. শাহেদ আলী শামসুজ্জামান ও রুমেনা আক্তারের বিয়ের সত্যতা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
রুমেনা সম্পর্কে আরও জানা যায়, পুলিশের চাকরিতে যোগদানের পর প্রশিক্ষণে অংশ নেন তিনি। ওই সময় স্বামী হিসেবে শামসুজ্জামান রুমেনা আক্তারের ব্যয় নির্বাহের জন্য মানি অর্ডার করে নিয়মিত টাকা পাঠাতেন। পুলিশে যোগদানের পর রুমেনা থাকতেন সিলেট জেলা পুলিশ লাইন্সে আর শামসুজ্জামান নিজ বাড়ি ইব্রাহিমপুরেই বসবাস করতেন। একসময় শামসুজ্জামানের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি করেন রুমেনা। স্ত্রীর বদলে যাওয়ায় শামসুজ্জামান সিলেটে ছুটে আসেন। এসে শুনতে পান- রুমেনা তার এক সহকর্মীর সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক তৈরি করেছেন। এসব শুনার পরও সংসার টিকিয়ে রাখতে রুমেনাকে শামসুজ্জামান অনেক বুঝান। কিন্তু শামসুজ্জামানকে পাত্তা দেননি রুমেনা। এক পর্যায়ে রুমেনার সঙ্গে শামসুজ্জামানের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়।
সকল অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ প্রশাসন তদন্ত শেষে পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারির এক আদেশের ভিত্তিতে রুমেনাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে বদলি করা হয়েছে।
আবুল কাশেম রুমন
সিলেট প্রতিনিধি
Discussion about this post