বাংলাদেশের লোক সঙ্গীতের মহাতারকা কুদ্দুস বয়াতী বলেছেন,শেখ হাসিনা আমার অসুখের সময় আমাকে বিশ লক্ষ টাকা দিয়ে সাহাজ্য করেছিলেন। ১৩ মার্চ রবিবার দুপুরে কাউন্দিয়া বাজারে তার বাসায় তিনি বলেন, কিছুদিন আগে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু সজ্জায় সজ্জিত ছিলাম। সবাই বলছে স্যালাইন ভরসা, স্যালাইন ভরসা। কতজনে যে কইছে ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। কুদ্দুস বয়াতী আর নাই৷ চলেই তো যাবো সবাই তো গেছেগা। মনে করেছিলাম আমিও মনে হয় চলে যাবো কিন্তু আল্লাহর কুদরতের বাণী কে বুঝিতে পারে। জমাইয়া চান্দের বাজার বইয়া রঙ দেখে কিন্তু আল্লাহ আমাকে নেয় নাই। কিন্তু আমি ধন্যবাদ দিব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তিনি আমার অসুখের সময় আমাকে বিশ লক্ষ টাকা দিয়ে সাহাজ্য করেছিলেন। আর এ দেশে যত সরকার রয়ে গেছে, আমি নাম আর কইতাম না। কোন সরকার কত জাতের গান গাইছি, কতো কিছু করছি কেউ আমাকে বলতে পারবে না আমার একাউন্টে ২০ হাজার টাকা আছে । এই হালারা আমারে খাটায়ছে কিন্তু দশটা পয়সা দিছে না। আমি ধন্যবাদ দিব আমার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। আমি এহন তার গান গাই, তার গুনগানই গায়। কারণ সে আমারে যাওয়ার পথে সাহাজ্য করে ফিরিয়ে আনছে। বাংলাদেশের ১৫ কোটি মানুষ আর আমার গর্ভধারিণী মা দোয়া করে
ছে যার ফলে আমি ফিরে এসেছি। আমি ডিজিটাল এর সাথে খেলতে চাই৷ডিজিটাল রুপে আমি আবার গান আরম্ভ করেছি। আমি ডিজিটালের সাথে থাকতে চাই, সবার কাছে দোয়া চাই।
তিনি আরো বলেছে, আমি যে পাগলা ঘোড়া গানটা গাইছি না, একটা মানুষ যদি পাগলা ঘোড়া না হইতে পারে তাহলে দুনিয়াতে তার ৫ টা পয়সারো মুল্য নাই । এ দেশে যতো যত বড়ই লাড বাহাদুরই হতো, তার পাগলা ঘোড়া হতে হবে৷ সবারই একটা দেশ আছে, লালনের দেশ আছে, হাসনের দেশ আছে, করিমের দেশ আছে, জালালের দেশ আছে, বড় বড় কবি সাহিত্যিকরাও একটা দেশ নিয়ে আছে। আমি একলাই এমন একটা দেশ নিয়ে আছি। আমার লেহা পড়া নাই। আমি পুরান কালের জিনিসটি তুলে ধরি। তাই সবাই আমাকে ভালবাসে। বড় বড় শিল্পী যারা আছিল তারা কিন্তু এহন আর নাই।আমার ওস্তাদ হুমায়ুন আহম্মেদ, বারী সিদ্দিকী, সুবীর নন্দী, আব্দুর রহমান বয়াতী, আয়ুব বাচ্চু তারা কিন্তু নাই। বেহেই গেছে গা। আজম খান যে সময় আবিষ্কার হইছে বিদেশী যন্ত্র নিয়া, আমি সেসময় আবিষ্কার হইছি এক তারা আর দুইতারা এবং পালা নিয়া। আগে মানুষে পালা গাইত বইসা বইসা। আমি গ্রামে গ্রামে ঘুইড়া, একটা কিভাবে হাটত, বোরকা পড়তো, কিভাবে একটা মেয়ে কাপড় পড়তো, কিভাবে বিয়ে বাড়ীতে গান হইতো সেগুলো আমি সাজিয়া আমি অভিনয় করিয়াছি। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে এ প্রতিবেদক মাসুদুর রহমানকে বলেন, আমি যা অভিনয় করিয়াছি, এহন সবাই আমার থেকে শিখছে।এহন যারা নাট্য ব্যক্তিত্ব করে আমার সামনে এসে এহনো তারা পারতো না। কারন কেউ একলা চরিত্র করলে ১০ টা করতে পারবে, আমি একা চরিত্র করব ৫০ টা। আমার মনে যা চায় আমি তাই করতে পারব। কারণ আমি আগেলা দেশটাকে ধরে রাখছি। একটা মানুষ লেখা পড়া ছাড়া, আমি তো ইংরেজিও কইতে পারিনা। বাংলাডাও ঠিক ভাবে কইতে পারি না। কতো বিপদ কতো কত লড়াদশা করছি, এইডা কোন নির্নয় নাই । এর পরেও আমার বাংলাদেশ, সোনার বাংলাদেশ, স্বাধীনতার বাংলাদেশ, ৩০ লক্ষ শহিদের বাংলাদেশ। এদেশে মানে মারাত্মক জিনিস। আমি এ দেশে জন্মগ্রহণ করেছি আমার মায়ের ভাষা নিয়ে আমি এ দেশে আইছি। পরে যারা শিল্পী হইছে, এরা দেখছি এমেরিকা পাড়ি দিছে তার বউ পোলাপান নিয়া। তারা এহন স্থানীয় ওখানে হয়ে গেছে, মাঝে মধ্যে হুনি ভাল ভাল সেলিব্রিটি ওখানে ট্যাক্সি চালায়।
সব শেষে তিনি সকল সন্তানদের পিতা মাতার খেদমত করার আহব্বান জানান।
মাসুদুর রহমান
বিনোদন প্রতিবেদক
Discussion about this post