সমাজকল্যাণমন্ত্রী মো. নুরুজ্জামান আহমেদ জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ভিক্ষুকের সংখ্যা নির্ধারণের জন্য সমন্বিতভাবে কোনো জরিপ পরিচালিত হয়নি। তবে জেলা পর্যায়ের জেলা প্রশাসক এবং জেলা সমাজসেবা অফিসের উপপরিচালকের কার্যালয়ের জরিপ অনুযায়ী সারাদেশে ভিক্ষুকের সংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজার।সোমবার (১৩ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম-৪ আসনের এমপি দিদারুল আলমের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, সারাদেশের ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন কার্যক্রমে মন্ত্রণালয়ের চাহিদায় সাড়ে ৪০০ কোটি টাকার বিপরীতে মাত্র ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া পুরো টাকাই ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনে মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। দেশের ০.১৭ শতাংশ মানুষ ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ডিসিদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।
মো. ফরিদুল হক খানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের ১৮ জেলায় ৫১টি উপজেলা ও ইউনিয়নের অধীনে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা এবং অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা উপকারভোগীদের ডিজিটাল পদ্ধতি তথা জিটুপি পদ্ধতিতে প্রদান করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ২১৪৪৩.৭৮ লাখ টাকা প্রাক্কলিক ব্যয়ে সিটিএম প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে।
এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, সরকারি শিশু পরিবারে পিতৃহীন অথবা পিতৃ-মাতৃহীন ৬-১৮ বছরের শিশুদের লালন পালন করে। বয়স ১৮ বছর উত্তীর্ণ হলে তাদের বিবাহ, চাকরি, সামাজিকভাবে, প্রশিক্ষণের এবং শিক্ষার মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়। ছয় বিভাগে ছয়টি এতিম ও প্রতিবন্ধী ছেলে-মেয়ের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে। সরকারি শিশু পরিবার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৬৯ হাজার ২৮৬ জনকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
Discussion about this post