ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে প্যারাসিটামল সিরাপ নাপা সেবনে দুই শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠার পর ওষুধ বিক্রেতাদের ওই নির্দিষ্ট ব্যাচের সিরাপ বিক্রি না করতে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতি।
দেশের ওষুধ বিক্রেতাদের এ সংগঠনের সহসভাপতি দ্বীন আলী রোববার বলেন, তারা মৌখিকভাবে সমিতির সকল সদস্যকে ওই নির্দিষ্ট ব্যাচের (ব্যাচ নং ৩২১১৩১২১) নাপা সিরাপ বিক্রি বন্ধ রাখতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘সেন্ট্রালি আমাদেরকে ডিসি অফিস থেকে কোনো চিঠি দেয় নাই বিধায় আমরাও সদস্যদের জন্য কেন্দ্র থেকে কোনো চিঠি দিতে পারছি না, সার্কুলারটা ইস্যু করছি না। কিন্তু আমরা ভারবালি বলছি সকলকে। আমরা অলরেডি ব্রাঞ্চগুলোকে বলেছি যাতে এই ওষুধগুলো বিক্রি না হয়। যে জেলাগুলোতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সুপাররা আমাদের জানিয়েছেন, সেখানেই আমাদের সদস্যরা পদক্ষেপ নিয়েছেন।’
যেখানে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, সেই ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও নির্দিষ্ট ব্যাচের নাপা সিরাপ বিক্রি বন্ধ রেখেছেন ওষুধ বিক্রেতারা।
কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আবু কাউছার বলেন, যে দুটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তাদের মা ও প্রতিবেশীরা বলেছেন, নাপা সিরাপ সেবনের পর তাদের মৃত্যু হয়েছে।
সেই পরিপ্রেক্ষিতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত ওষুধ বিক্রেতাদের ওই নির্দিষ্ট ব্যাচের নাপা সিরাপ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। কারণ নাপার বদলে অন্য ওষুধ কিনেও মানুষ চলতে পারবে। কিন্তু কোনো শিশুর যেন ক্ষতি না হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনার প্রেক্ষিতে নাপার ১২০ মিলিগ্রাম ও ৫ মিলিগ্রাম সিরাপ (ব্যাচ নং ৩২১১৩১২১, উৎপাদন তারিখ ১২/২০২১, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ১১/২০২৩) পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করে ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরিতে প্রতিবেদন পাঠাতে বলেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
সূত্র: সমকাল