সরকার যাকাত ব্যবস্থাপনা আইন নামে নতুন একটি আইন তৈরি করতে যাচ্ছে। ‘যাকাত ব্যবস্থাপনা আইন-২০২২’ শীর্ষক এ আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে উঠবে।
এ আইনের আওতায় দেশের প্রতিটি বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও স্থানীয় পর্যায় থেকে যাকাত সংগ্রহ করা হবে।
এর আগে যাকাত ফান্ড অর্ডিন্যান্স-১৯৮২ এর মাধ্যমে যাকাত ব্যবস্থাপনার কাজ করতো সরকার। সরকারিভাবে যাকাত সংগ্রহের লক্ষ্যে ওই অধ্যাদেশটি সময়োপযোগী করে নতুন আইনটি তৈরি ক রা হবে।
নতুন আইনের উদ্দেশ্য পূরণে যাকাত তহবিল নামে একটি তহবিল গঠন করা হবে। দেশের অভ্যন্তরে সরকারিভাবে সংগৃহীত যাকাত, প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছ থেকে পাওয়া যাকাত, বিদেশি কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া যাকাত এবং অন্য কোনো উৎস থেকে পাওয়া যাকাতের অর্থ দিয়ে এই তহবিল গঠন করা হবে।
সরকার প্রয়োজনবোধে স্থানীয়ভাবে যাকাত তহবিল সংরক্ষণ করার জন্য অনুমতি দিতে পারবে। তহবিলে সংগৃহীত অর্থ বোর্ড অথবা ক্ষেত্রমতে কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনো তফসিলি ব্যাংকে ‘সরকারি যাকাত ফান্ড’ শিরোনামে সুদহীন হিসাবে গচ্ছিত রাখা হবে।
যাকাত বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী। পদাধিকার বলে ভাইস চেয়ারম্যান হবেন সচিব। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক হবেন সদস্য সচিব।
এছাড়া অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্মসচিব, প্রখ্যাত ইসলামি ফকিহ বা আলেমদের মধ্যে সরকার মনোনীত পাঁচ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি, তহবিল ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক এবং সরকার মনোনীত শিল্প, বাণিজ্য ও ব্যবসায়ী সংগঠনের দুইজন প্রতিনিধি বোর্ডে যুক্ত থাকবেন।
যাকাত বোর্ডকে প্রশাসনিক সহায়তা দেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা)। বোর্ডের সিদ্ধান্তগুলোও বাস্তবায়ন করবে ইফা।
নতুন এ আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, অতীতের অধ্যাদেশে যাকাত বোর্ডের হিসাব সংরক্ষণ ও নিরীক্ষার কোনো ধারা ছিল না। নতুন আইনে এ সংক্রান্ত একটি ধারা সংযোজন করা হয়েছে। বোর্ডের পক্ষে ফাউন্ডেশন যথাযথভাবে তহবিলের হিসাব সংরক্ষণ করবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করবে। মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক প্রত্যেক বছর তহবিলের হিসাব-নিরীক্ষা করবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের ওপর একটি করে অনুলিপি সরকার ও বোর্ডের কাছে পেশ করবেন। হিসাব নিরীক্ষা প্রতিবেদনের ওপর কোনো আপত্তি উত্থাপিত হলে তা নিস্পত্তির জন্য বোর্ড যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তহবিলের অর্থ ব্যবস্থাপনা ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক হয়েছে কিনা তা নিরীক্ষা ও যাচাই করার জন্য বোর্ড প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যাকাত বোর্ডের প্রশাসনিক ও পরিচালন সংক্রান্ত সকল ব্যয় সরকার বহন করবে।
সূত্র : ঢাকাটাইমস
Discussion about this post