টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সহদেবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চামুরিয়া গ্রামে অবৈধ বাংলা ড্রেজার বন্ধের দাবীতে বিক্ষোভ প্রতিবাদ করেছেন এলাকাবাসী। সোমবার সকালে চামুরিয়া বিলের পাশে শতাধীক কৃষক এ বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের নিকট প্রতিকার চেয়ে তিন’শ সাধারণ মানুষের গণস্বাক্ষরসহ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী কৃষক ও এলাকাবাসী।
সরেজমিনে জানাযায়, টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সহদেবপুর ইউনিয়নের দক্ষিন চামুরিয়া মৌজায় রাঙাইদ দহে বাংলা ড্রেজার বসিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বালু ও উত্তোলন করে আসছে প্রভাবশালী একটি মহল। তাদের ভয়ে কেও মুখ খুলতে সাহস পায়না। বালু উত্তোল বন্ধের কথা বললে প্রভাবশালীরা মামলা-হামলার ভয় দেখায়।
চামুরিয়া গ্রামের ভুক্তভোগী মোকদম মোল্লার ছেলে করিম মোল্লা, হাবু মিয়ার ছেলে তোতা মিয়া, মৃত আবেদ আলীর ছেলে আব্দুল হামিদ, মোস্তাব আলীর ছেলে বেলায়েতসহ একাধীক ব্যক্তি জানান, স্থানীয় কয়েকজন বালু ও মাটি ব্যাবসায়ীরা সংঘবদ্ধভাবে তারা জোর করে মাটি কাটার চেষ্টা করছে। ফলে আমাদের গ্রামের ২টি ঈদগাহ মাঠ দুইটি কবরস্থান, একটি ব্রীজ একটি মসজিদ সহ শত শত বাড়ীঘর হুমকির মুখে পড়ায় আমরা বাধা দিতে গেলে মামলার ভয় দেখিয়ে হুমকি দেয়। স্থানীয় ভ্যান চালক কাদের বলেন, এরা প্রভাবশালী নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে চলে এবং এদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস রাখেনা।
সহদেবপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও মাটি ব্যবসায়ী মো. লাল মিয়া জানান, এলাকায় সরকারী দুইটি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের স্বার্থে মাটির প্রয়োজন হওয়ায় আমরা বালু উত্তোলন ও মাটি কাটার সিদ্ধান্ত নেই। তিনি আরো বলেন, সরকারি কাজে সরকারি জায়গার মাটি কাটছি। এতে সাধারণ মানুষের কি।
সহদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোখলেছুর রহমান ফরিদ মুঠোফোনে জানান বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি আমি দেখবো।
কালিহাতী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নির্বাহী নাজমুল হুসেইন জানান এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়াও আমি আসার পর কালিহাতীতে বাংলা ড্রেজার বন্ধে কাজ করছি। বাংলা ড্রেজার বন্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
কামরুল হাসান
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
Discussion about this post