নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, বিশ্বাস, দেশপ্রেম ও অসাম্প্রদায়িক দর্শন শেখানোর আহবান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সফররত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম রেজাউল করিম বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতা ও দেশপ্রেমিক আখ্যায়িত করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস এ খবর জানিয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উদযাপনের জন্য দূতাবাস বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। ত্রিশ লাখ শহীদ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাম্প্রদায়িক ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করার শপথ নেওয়ারও আহ্বান জানান মন্ত্রী। বঙ্গবন্ধুর ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্ব এবং ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত দেশের সকল আন্দোলনে দীর্ঘ সংগ্রামের কারণে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম জাতি হিসেবে স্বাধীনতা অর্জন করেছে।
রেজাউল করিম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে ‘নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর’ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে সাম্প্রতিক বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘দুঃস্থ মানুষের কণ্ঠস্বর’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। বাংলাদেশের শিশুদের কল্যাণে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন মৎস্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দূতাবাসের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স ফেরদৌসী শাহরিয়ার। আলোচনা শেষে “বঙ্গবন্ধু-ফরএভার আওয়ার হার্টস” শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এর আগে মৎস্যমন্ত্রী দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্নারে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর মহান নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। সকালে চ্যান্সারি প্রাঙ্গণে দূতাবাসের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দূতাবাসের উদযাপন শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পাঠ করা হয়।
বঙ্গবন্ধু ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদদের বিদেহী আত্মার চির শান্তির পাশাপাশি বাংলাদেশের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স তার বক্তব্যে জাতির পিতার ১০২তম জন্মবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু নিপীড়িত মানুষের কল্যাণে সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন।
Discussion about this post