যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটির স্কুল থেকে নানা কারনে গত ৫ বছরে ঝরে পড়েছে সোয়া লাখ শিক্ষার্থী। পাবলিক স্কুলের চ্যান্সেলর ডেভিড সি ব্যাংকস এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বর্তমান ও কোভিড সময়কালীন সমস্যা থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাওয়া, ক্লাসে মাস্ক ম্যান্ডেট তুলে দেওয়া, যেসব শিক্ষার্থীর ওপর কোভিডের বিরূপ প্রভাব পড়েছে সেখান থেকে তাদের বের করে আনতে হবে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস এ খবর জানিয়েছে।
নিউ ইয়র্ক পাবলিক স্কুলসমূহে রূপান্তর ও আস্থা গড়ে তোলার দর্শন নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন চ্যান্সেলর। পাশাপাশি গত পাঁচ বছরে যেসব শিক্ষার্থী স্কুল থেকে ঝরে পড়েছে তাদেরকে ফিরিয়ে আনা এবং ভবিষ্যতে ঝরে পড়া রোধ করে তাদের উপযুক্ত ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে তার পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে স্কুলগুলোকে সহায়তাদানে মনোনিবেশ করা, জন্ম থেকে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত উচ্চমানের প্রযত্ন ও শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা, প্রমাণিত ধ্বনিবিজ্ঞান সাক্ষরতার শিক্ষা নির্দেশনা ব্যবহার করা, যেন প্রতিটি শিক্ষার্থী তৃতীয় গ্রেডে পড়তে সক্ষম হয়। শৈশবকালে ডিসলেক্সিয়া এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যগত অবস্থা শনাক্ত করতে নতুন যাচাই পদ্ধতির ব্যবহার করা, যেন আমরা অধিকতর কার্যকরভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি। প্রাইভেট ও অলাভজনক সেক্টরের পার্টনারদের সাথে নতুন এবং গভীর সহযোগিতা তৈরি, যা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি অঙ্গীকার করা, যেন প্রতিটি শিক্ষার্থী ডিপ্লোমাসহ হাইস্কুল গ্র্যাজুয়েট হয় এবং একটি ভালো চাকরি ও পেশার পথ পায়।
তিনি বলেন, ৩ জানুয়ারি যেদিন আমি দায়িত্ব নিই, সেদিন স্কুলে উপস্থিতির হার ছিল ৬৫ শতাংশ। আর ১ মার্চ তা ছিল ৮৯ শতাংশ। বিশ্ব মহামারির কারণে দীর্ঘ সময় যাবৎ যখন স্কুল বন্ধ ছিল, তখন ছেলেমেয়েদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এটা শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক ও শারীরিক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। আমরা এই সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছি। ক্লাসরুম ও হলগুলোতে উদ্যম ফিরে এসেছে। তিনি বলেন, স্কুলগুলো শুধু কোভিডের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে না। বিগত পাঁচ বছরে স্কুলগুলো ১ লাখ ২০ হাজার শিক্ষার্থী হারিয়েছে। তিনি স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থী হারানোর যে প্রবণতা তৈরি হয়েছে, সেখান থেকে বের হয়ে আসার আহবান জানান।
Discussion about this post