সৌদি গ্যাজেটের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে, কোন দেশ থেকে কতজন হজযাত্রী হজ পালন করতে পারবেন এ বছর। চলতি বছর সৌদি এবং এর বাইরের ১০ লাখ মুসল্লি হজে অংশ নিতে পারবেন বলে আগেই নিশ্চিত করেছিলো দেশটির হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এ বছর ইন্দোনেশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষ হজ পালনের সুযোগ পাবেন। দেশটি থেকে হজ করতে পারবেন ১ লাখ ৫১ জন হজযাত্রী। এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান। দেশটি থেকে ৮১ হাজার ১৩২ জন হজ পালনের সুযোগ পাবেন।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারত থেকে হজ পালনের সুযোগ পাবেন ৭৯ হাজার ২৩৭ জন হজযাত্রী। এই তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। দেশটি থেকে এবার ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজযাত্রী হজপালনের সুযোগ পাবেন।
অপরদিকে আফ্রিকার দেশ অ্যাঙ্গোলা থেকে সবচেয়ে কম মানুষ এবার হজ পালনের সুযোগ পাবেন। দেশটি থেকে এ বছর হজে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন মাত্র ২৩ জন। অপরদিকে আরব দেশগুলোর মধ্যে মিশর থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষ হজ পালনের অনুমতি পেয়েছেন। দেশটি থেকে এবার হজ পালনের সুযোগ পাবেন ৩৫ হাজার ৩৭৫ জন।
এছাড়া আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে নাইজেরিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষ হজ পালনের সুযোগ পাবেন। দেশটি থেকে হজ পালন করতে পারবেন ৪৩ হাজার ৮ জন। ইরান থেকে এ বছর হজ পালন করতে পারবেন ৩৮ হাজার ৪৮১ জন এবং তুরস্ক থেকে ৩৭ হাজার ৭৭০ জন।
এদিকে, চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে হজ পালন করতে পাবেন ৯ হাজার ৫০৪ জন, রাশিয়া থেকে ১১ হাজার ৩১৮ জন, চীন থেকে ৯ হাজার ১৯০ জন, থাইল্যান্ড থেকে ৫ হাজার ৮৮৫ জন এবং ইউক্রেন থেকে ৯১ জন।
এর আগে সৌদির হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, চলতি বছর ১০ লাখ মানুষ হজ করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে ৮৫ শতাংশ মানুষ হজ পালনের সুযোগ পাবেন।
সৌদির অভ্যন্তর থেকে হজ পালনের সুযোগ পাবেন দেড় লাখ মানুষ এবং সৌদির বাইরে থেকে হজের অনুমতি পাচ্ছেন সাড়ে ৮ লাখ মানুষ।
দুই বছরের বেশি সময় ধরে করোনা মহামারির কারণে বেশি সংখ্যক মানুষকে হজ পালনের অনুমতি দিতে পারছে না সৌদি। কয়েক বছর ধরেই নানা বিধিনিষেধের মধ্য দিয়ে হজ পালন করতে হচ্ছে। চলতি বছর হজ পালনের ক্ষেত্রে দুটি শর্ত দেওয়া হয়েছে দেশটির হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। একটি হচ্ছে-হজযাত্রীদের বয়স ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে হওয়া যাবে না এবং প্রত্যেক হজ যাত্রীকে করোনাভাইরাসের টিকার দুই ডোজই গ্রহণ করতে হবে।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে গত বছর ৫৮ হাজার ৭৪৫ জন হজ পালন করেছেন। হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ সংখ্যক হজযাত্রীকে হজ পালন ও মসজিদে নববী পরিদর্শনের সুযোগ দিতে আগ্রহী সৌদি সরকার। একই সঙ্গে তাদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
Discussion about this post