লাখাইয়ে রাস্তার দুপাশে খাল সরকারী জায়গা দখলের মহোৎসব চলছে।
ঈদ উপলক্ষে বাড়ি এসেছি৷ আসার পর যে কয়টি বিষয় লক্ষ্য করলাম তা রীতিমত ভয়াবহ।
নাসিরনগর হতে ফান্দাউক, মুড়াকরি, ফুলবাড়িয়া এবং বামৈয়ে রাস্তার দুপাশে খাল এবং সরকারী জায়গা দখলের এক মহোৎসব শুরু হয়েছে৷ যা দেশের উন্নয়নের এক মহা অন্তরায়৷ আমার কাছে মনে হয়েছে এসব সংশ্লিষ্ট সবাই ক্ষমতার কাছাকাছি লোক৷ তাই তাদের এ মহোৎসবে অংশ নিতে বিন্দুমাত্র চিন্তা করতে হয় না৷
এর চেয়েও মারাত্মক ভয়াবহ বিষয় যেটা সেটা হলো পানির সমস্যা৷ খাল বিলে পানি নাই৷ টিউবওয়েলে পানি ওঠে না৷ ৯০ ফুট টিউবয়েলের পানি পান অযোগ্য। ১৮০, ২৫০ এমন ৮০০ ফুট গভীর নলকুপেও পানি নেই৷ কি এক মহা সমস্যা ৷ অথচ সেদিকে কোনো নেত্রীবৃন্দ বা প্রশাসনের কোন ভ্রুক্ষেপ আছে বলে মনে হয় না৷
ঈদ উপলক্ষে প্রচুর মানুষের আগমন ঘটছে এলাকায়৷ কিন্তু এলাকার পরিবহন ব্যবস্থায় যেনো এক রামরাজত্বের কবলে পড়ে আছে৷ আপনি ইচ্ছা করলেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্বরোড হতে যেকোনো গাড়ি বা সিএনজি বা ইলেক্ট্রিক রিক্সা নিয়ে ফান্দাউক, মুড়াকরি হয়ে বামৈ লাখাই বা কালাউক যাতায়ত করতে পারবেন না৷ ফান্দাউক বা মুড়াকরি এসে আপনাকে গাড়ি পরিবর্তন করতে চালক শ্রমিকরা আপনাকে বাধ্য করবেই৷ এ যেনো প্রশাসন বিহীন অন্য এক রাজ্য৷ অথচ ঈদ উপলক্ষে মানুষ পরিবার পরিজন সহ ব্যাগ লাগেজ নিয়ে যাতায়াত করে, যেখানে বারবার গাড়ি বা সিএনজি পরিবর্তন করা রীতিমত কষ্টকর এক বিষয়৷ এসব দেখার কেউ নেই৷
এদিকে রাজনৈতিক সংগঠনগুলো ইফতার পার্টির নামে শো অফে ব্যস্ত৷ অথচ খরায়, পানির অভাবে, বিভিন্ন বিষক্রিয়া কিংবা বীজের কারনে কিংবা পার্শবর্তী দেশের পাহাড়ি ঢলে হাজার হাজার জমির ফসল নষ্ট ও তলিয়ে গেছে৷ এসব নিয়ে কারোর কোনো বিকার আছে বলে মনে হয় না৷
আরো একটা ধ্বংসাত্মক বিষয় হলো যে যেখানে যেভাবে পারছে কৃষিজমি ভরাট করে বাড়ি, মার্কেট নির্মান করছে৷ এমনকি পানির অন্যতম আধার যা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখে সেই পুকুর গুলোও ভরাট করা হচ্ছে যাচ্ছে তাই ভাবে৷
আসলে আমরা কোনদিকে যাচ্ছি? কোথায় যাচ্ছে আমাদের বিবেক? আসলেই কী উন্নয়ন হচ্ছে দেশের? না কী আমরা খুবই পরিকল্পিতভাবে অগ্রসর হচ্ছি সমাজ ও দেশ ধ্বংসের দিকে৷ তাই উল্লেখিত বিষয়গুলোতে উপজেলা প্রশাসন লাখাই সহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপ আশা করছি৷
পিয়া আক্তার
লাখাই (হবিগঞ্জ) সংবাদদাতা
Discussion about this post