পৃথিবীর সবচেয়ে সু-মধুরতম ডাক ‘মা’। ছোট্ট এ শব্দের অতলে
লুকায়িত থাকে গভীর স্নেহ, মমতা, অকৃত্রিম দরদ ও ভালোবাসা। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মা, মায়ের বৈশিষ্ট্য
আর ভালোবাসা কখনো বদলায় না। তাইতো মমতাময়ী মায়ের সম্মানে প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার
‘বিশ্ব মা দিবস’ পালন করা হয়। যদিও মাকে ভালোবাসা-শ্রদ্ধা জানানোর কোন দিনক্ষণ ঠিক করে হয় না-
তবুও মাকে গভীর মমতায় স্মরণ করা হয় এই দিনে।
রোববার (৮ মে), বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে পত্নীতলা উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা মহিলা অধিদপ্তর ও জাতীয়
মহিলা সংস্থার আয়োজনে র্যালী শেষে এক আলোচনা সভা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ লিটন সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে
বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল গাফ্ফার। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন
উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজাতুল কোবরা মুক্তা।
জাতীয় মহিলা সংস্থা পত্নীতলার আমিনুল হকের সঞ্চানলায় এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক নওগাঁ
জেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার সাদেক উদ্দীন আহমেদ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মনোরঞ্জন পাল,
উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আলম আলী, মেডিকেল অফিসার ডাঃ সিয়াম, পত্নীতলা প্রেসক্লাব ও উপজেলা
দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব বুলবুল চৌধুরী।
বক্তারা এসময় বলেন, মা দিবসের উদ্দেশ্য প্রতিটি মাকে যথাযথ সম্মান দেওয়া, শ্রদ্ধা জানানো ও ভালোবাসা।
যিনি জন্ম দিয়েছেন, লালন-পালন করেছেন সেই মা আজকের দিনে অনেক ক্ষেত্রেই অবহেলিত। ঘরে কিংবা
বাইরে সর্বক্ষেত্রে মায়েদের যথাযথ সম্মান ও অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হলেই কেবল মাত্র আজকের এই দিবসের
স্বার্থকতা হবে।
উল্লেখ্য প্রাচীন গ্রিসে বিশ্ব মা দিবসের পালন করা হলেও আধুনিককালে এর প্রবর্তন করেন এক মার্কিন নারী।
১৯০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আনা জারভিস নামের নারী মারা গেলে তার মেয়ে আনা মারিয়া রিভস জারভিস
মায়ের কাজকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য সচেষ্ট হন। তাঁরি কয়েক বছরের চেষ্টার ফলে ১৯১৪ সালের ৮ মে
মার্কিন কংগ্রেস মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে ‘মা’ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এভাবেই শুরু হয় মা দিবসের
যাত্রা। এরই ধারাবাহিকতায় আমেরিকার পাশাপাশি মা দিবস এখন বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বেশিভাগে দেশ পালন
করে আসছে।
আকমাল হোসেন
পত্নীতলা প্রতিনিধি।
Discussion about this post