কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সন্ত্রাসী হামলায়
জাসদ যুবজোট নেতা মাহাবুব খান সালাম নিহত হওয়ার
ঘটনায় দৌলতপুরের কিলারখ্যাত সন্ত্রাসী বুলবুল আহমেদ টোকন
ও তার ভাই সেলিম চৌধুরী সহ হত্যাকান্ডের সাথে জরিত ২২ জন
চিন্থিত সন্ত্রাসীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৮-৯ জনের নামে
হত্যা মামলা দায়ের করেছে নিহতের বাবা।
সন্ত্রাসী হামলায়
নিহত মাহাবুব খান সালামের পিতা আলাউদ্দিন খান ওরফে
এনামুল হক বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার সকালে এ হত্যা মামলা দায়ের
করেন। যার নং ৩১। মামলার আসামীদের মধ্যে রয়েছেন দৌলতপুর
উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কুষ্টিয়া-১
দৌলতপুর আসনের সাবেক ( বিদ্রোহী) এমপি রেজাউল হক
চৌধুরীর ছোটভাই হোগলবাড়িয়া ইউপি নেতা সেলিম
চৌধুরী, দৌলতপুর যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি বুলবুল
আহমেদ টোকেন চৌধুরী, দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের
নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য
আসাদুজ্জামান লোটন চৌধুরীসহ একই পরিবারের ৬ জন। হত্যা
মামলা দায়েরের পর দৌলতপুর থানা পুলিশ উপজেলার আল্লারদর্গা ও
সোনাইকুন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যা
মামলার ৩ জন এজাহার নামীয় আসামি সোহান, নজিবুল ও
মেহেদীকে গ্রেফতার করেছেন।
বুধবার সন্ধ্যার পূর্বে নিহত মাহাবুব খান সালামের নামাজে
জানাযা শেষে আমদহ কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।
জানাযা পূর্ব হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার চেয়ে বক্তব্য
রাখেন, জাসদ যুবজোটের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শরিফুল
কবীর স্বপন, জাসদ নেতা এস এম আনাছারুল হক, পিয়ারপুর
ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল রানা বুলবুল। নির্মম এ হত্যাকান্ডের
ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
হত্যা মামলার বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি এস এম জাবীদ হাসান
জানান, জাসদ যুবজোট নেতা মাহাবুব খান সালাম হত্যার
ঘটনায় নিহতের বাবা আলাউদ্দিন খান ওরফে এনামুল হক বাদী
হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ৮-৯ জন অজ্ঞাত আসামিদের
নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন, যার নং ৩১। এ ঘটনায় ৩ জন
গ্রেফতার হয়েছে। এরা সকলেই এজাহার নামীয় আসামি।
অন্যান্য আসামিদের মধ্যে সাবেক এমপি রেজাউল হক চৌধুরীর
ছোটভাই সেলিম চৌধুরী, টোকেন চৌধুরী, লোটন
চৌধুরীসহ ওই পরিবোরের অনেকে রয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ
করেন। বাঁকী আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।
বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, সালাম হত্যাকান্ডের সাথে জরিত
এজাহার নামীয় আসামীদের নামে হত্যা, অপহরন, মাদক, অগ্নি
সংযোগ, লুটপাট, ডাকাতি, ছিনতাইসহ অসংখ্য মামলা
রয়েছে। দৌলতপুরের স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা জানান,
সন্ত্রাসী টোকেন ও সেলিম এর নামে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায়
বিগত কয়েক মাস ধরে একের পর এক সংবাদ হচ্ছে। এর পরেও তাদের
বিরুদ্ধে প্রশাসন ও দলীয় ব্যবস্থা না নেওয়া একের পর এক অপরাধ
টোকেন বাহীনি করেই চলেছে। বিগত সময়ে বিদ্রোহী এমপি
রেজাউল হক চৌধুরীর এমপি প্রভাব খাটিয়ে দৌলতপুরে অপরাধ
সামরাজ্য গড়ে তুলেছে। এই বাহীনির কাজে বাধা দিলেই নেমে
আসে তাদের উপর অত্যাচার জুলুম। এমপি ভাই এর প্রভাব
খাটিয়ে বারবার অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়ায় কেন্দ্রীয়
আওয়ামীলীগের নেতাসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাদের নামে
প্রকাশ্যে বক্তব্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও
ভাইরাল করে সন্ত্রাসী টোকেন। এছাড়াও তার রয়েছে অবৈধ
টাকার খেলা টেন্ডার বাজি, হাট ঘাট, বালি মহল দখল সহ মাদক ও
অস্ত্রের ব্যবসা করে অল্প সময়ে শত শত কোটি টাকার মালিক বণে
গেছে চৌধুরী পরিবার। এলাকার সচেতন মহলের দাবি অবৈধ
টাকার গরমে চৌধুরীরা দিনে রাতে প্রকাশ্যে মানুষ হত্যা করে।
এখনই সময় প্রশাসন এবং দলের নেতাদের এই চৌধুরীদের
আইনের আওতায় নিয়ে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা।
স্টাফ রির্পোটার
মাহমুদ হাসান
Discussion about this post