টাঙ্গাইলের কালিহাতী থানায় বাবার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় ছেলেকে থানায় আটকে রেখে পুলিশী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ যেন উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে। গত রোববার (২২ মে) রাতে মগড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার দশকিয়া ইউনিয়নের মগড়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে হাতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছ থেকে রোববার সন্ধ্যায় হাতিয়া দক্ষিণ পাড়া গ্রামের রাখাল চন্দ্র সূত্রধরের ছেলে গৌরাঙ্গ সূত্রধরকে মগড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল হাকিমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে আটক করে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যায়। ওই সময় তাকে বিভিন্ন শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। খবর পেয়ে গৌরাঙ্গর পরিবারের লোকজন তাকে ছাড়িয়ে নিতে আসলে পুলিশ তাদের সাথেও অসদাচরণ করে। ঘটনার এক পর্যায়ে পুলিশ গৌরাঙ্গকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। পুলিশের এহেন ভূমিকায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, রাখাল শারিরীকভাবে অসুস্থ্য ব্যক্তি। তার সাথে প্রতিবেশি নিতাই দাশের পরিবারের সাথে পারিবারিক কলহ চলছিল। প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে এক পক্ষ অপর পক্ষের বিরুদ্ধে মামলায় লিপ্ত হয়েছে।
গৌরাঙ্গ সূত্রধরের স্ত্রী লিপি সূত্রধর জানান, তার স্বামীকে পুলিশ অন্যায়ভাবে ধরে নিয়ে অমানষিক নির্যাতন করেছে। পরে তাকে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছে।
মগড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই আব্দুল হাকিম বলেন, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের চাপে আসামী গ্রেফতারের বিকল্প পন্থা হিসেবে গৌরাঙ্গকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল। নির্যাতনের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
দশকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ মালেক ভূইয়া বলেন, ঘটনাটি আসলেই বেমানান। পারিবারিক শত্রæতার জের হতে পারে।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল (বুধবার) হাতিয়া গ্রামের গৌরাঙ্গ সূত্রধরের বাবা রাখাল সূত্রধরের বিরুদ্ধে নিতাই চন্দ্র দাসের স্ত্রী পার্বতী রাণী দাস বাদী হয়ে তার প্রতিবন্ধি ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ করেন। এরপর নিতাই ও তার পরিবারের লোকজন রাখালের বাড়িতে গিয়ে তাকে বেধরক মারপিট করে ও বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। ঘটনার বেগতিক দেখে তাদের ভয়ে রাখাল বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
কামরুর হাসান
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
Discussion about this post