বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীকে স্মরণ করে এবার ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে নয়া সীমান্ত বন্দর ঘোষণা করতে চলেছে কেন্দ্র। এই সীমান্ত বন্দর হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থান মুজিবনগরকে। শুধু তাই নয়, এখানে সীমান্ত বন্দরকে সাজিয়ে তোলা হবে ভারত-বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি দিয়ে। এমনটাই জানা গেছে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ার হৃদয়পুরের সীমান্তবর্তী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের আমবাগান ঘেরা বৈদ্যনাথতলা ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তাঞ্চল। যুদ্ধের কৌশলগত কারণেই এখানেই ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কলকাতা প্রেসক্লাব থেকে সাংবাদিককে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে শপথ গ্রহণ করে মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার। ওই স্থানের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় মুজিবনগর। ইতিহাসের পাতায় এই অস্থায়ী সরকারের নাম হয় মুজিবনগর সরকার। এখানে সাংবাদিক বৈঠক করে বাংলাদেশ সরকার গঠনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীকে স্মরণ করে এই সীমান্তবর্তী এলাকাকে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে নয়া সীমান্ত বন্দর চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে দিল্লি-ঢাকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গত বছরের বাংলাদেশ সফরে সময় ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে স্থির হয়েছিল, নদীয়া জেলার চাপড়া থেকে হৃদয়পুর হয়ে মুজিবনগর পর্যন্ত ওই ঐতিহাসিক রাস্তাটির নামকরণ করা হবে ‘স্বাধীনতা সড়ক’। এবছর শেখ হাসিনার সম্ভাব্য ভারত সফরে স্বাধীনতা সড়ক দিয়ে নতুন সীমান্ত বন্দর ঘোষণা করে দু’দেশের নাগরিকদের জন্য উন্মুক্ত করার চেষ্টা শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে মোদি সরকার। কারণ সীমান্ত বন্দরের জন্য ৬০০ মিটার রাস্তা পাকা করতে হবে। যার জন্য নবান্নকে বলা হয়েছে। এমনটাই সূত্রের খবর।
জানা গেছে, বাংলাদেশের তরফে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনের পরিকাঠামো শেষ হওয়ার মুখে। ভারতের দিকে এই পরিকাঠামো তৈরি করার কাজ শেষ করতে পারলেই ভিসা নিয়ে দু’দেশের নাগরিকরা যাতায়াত করতে পারবেন এই ঐতিহাসিক স্থানটি দিয়ে।
সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন
Discussion about this post