হঠাৎ করে সিলেট জুড়ে বেড়েছে আত্মহত্যার প্রবণতা। পুলিশের সংশ্লিষ্ট সুত্র থেকে জানা যায়, ২০১৮ থেকে ২০২১ পর্যন্ত সিলেট জেলায় আত্মহত্যা করেছে ৩৯৬ জন। এর মধ্যে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ৩১৫ জন। বিষপানে আত্মহত্যা করেছে ৭৯জন ও গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ২ জন। এছাড়া আরও জানা যায়, সিলেটে ২০২০ সালে ৯৩টি, ২০২১ সালে ৯৯টি ও ২০২২ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ৩০টি আত্মহত্যা সংগঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি ২৫ মে (বুধবার) সিলেটের মুরারি চাঁদ (এমসি) কলেজের নতুন ছাত্রী হোস্টেল থেকে স্মৃতি রানী দাস (২০) নামের এক ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
২৬ মে (বৃহস্প্রতবার) আব্দুর রশিদ (৬০) নামে এক বৃদ্ধ ব্যক্তি তার বসত ঘরের ২য় তলায় উঠার সিঁড়ির চালাঘরের তীরের সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগাইয়া আত্মহত্যা করেন।
২৭ মে (শুক্রবার) সিলেট নগরীর পাঠানটুলা গোয়াবাড়ি মোহনা আবাসিক এলাকার সি-ব্লকের ২২নং বাসার একটি কক্ষ থেকে মুরারি চাঁদ (এমসি) কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক ৪র্থ বর্ষের সৌরভ দাশ রাহুল নামে এক ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আত্মহত্যা প্রবণতাকারীদের মধ্যে বেশির ভাগই কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ, ধনী, দরিদ্র সবার মাঝেই দেখা দিয়েছে। গত তিন দিলে সিলেটে তিনটি আত্মহত্যা সংগঠিত হয়েছে। এরমধ্যে দুজন সিলেটের মুরারি চাঁদ (এমসি) কলেজের শিক্ষার্থী ও একজন ৬০ বছর বয়সি বৃদ্ধ।
মনোরোগ বিজ্ঞানীদের মতে, সবাই এখন আমরা সোস্যাল মিডিয়ায় যে ভাবে সক্রিয় সে ভাবে পারিবারিক সামাজিক ভাবে সক্রিয় না। সে জন্য এখন মানুষ জনের একাকিত্ত চলে এসেছে। এছাড়া কারোনাকালের সামাজিক দূরত্ব মানুয়ের একাকিত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়ে গেছে। সামাজিক ভাবে আমরা একা থাকছে। মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা হৃদত্তা কমে গেছে। তাই সামাজিক, আর্থিক ও পারিবারিক চাপে হতাশা বাড়ছে। সামজিক যোগযোগ মাধ্যমে আসক্তির কারণে মানুষ একা হয়ে যাচ্ছে। ফলে মানুষজন আত্মহত্যা করছে। পাশাপাশি অপ্রাপ্তি, হতাশা, প্রতারণা, মানসিক অবসাদ, পারিবারিক নির্যাতন ও অতিরিক্ত আবেগ প্রবণতার কারণেই বেশির ভাগ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে।
আবুল কাশেম রুমন
সিলেট প্রতিনিধি
Discussion about this post