পর্দায় দর্শক হৃদয় কাঁপালেও অন্তর্জাল নিয়ে মোটেই স্বস্তিতে থাকেন না স্বস্তিকা মুখার্জি। নেটপাড়ায় তার ছবি আর পোস্ট মানেই বিতর্ক-বিদ্রূপের জোয়ার ওঠা। এবার সেসব নিয়ে মুখ খুললেন টলিউডের এই মুখ্য অভিনেত্রী।
স্বস্তিকার দাবি, এই কটাক্ষকারীদের তালিকার সিংহভাগজুড়ে রয়েছে মেয়েরাই। সাজসজ্জা থেকে আচরণ, সবকিছুতেই ইদানীং নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন। আমায় বেশি বিদ্রূপ করেন মেয়েরাই!
বরাবর স্বস্তিকা ‘আনকাট’। যা ভাবেন, তা-ই বলেন। নিজের শরীর নিয়েও অকারণ ছুঁৎমার্গ নেই। মুখের দাগ-ছোপ রূপটানে না লুকিয়েই ছবি তোলেন। সেই ছবি অনায়াসে পোস্ট করেন ইনস্টাগ্রামে। আগের তুলনায় ঈষৎ পৃথুলা। তাই নিয়েও মাথাব্যথা নেই। অভিনেত্রীর দাবি, ‘বয়স এগোলে শরীর ভারী হবেই। কিংবা আমার শরীর ভারিক্কি! তাতে কি? আমার শরীর নিয়ে, আমার সমস্যা না থাকলে অন্যদের থাকবে কেন?’
কেন সবকিছু নিয়েই বারবার বিতর্কিত মন্তব্য করেন স্বস্তিকা? জেনে-বুঝে করেন? নাকি নিজেকে সাহসী প্রমাণিত করতে? অভিনেত্রীর কথায়, কোনওটাই নয়। তিনি সোজাসাপ্টা কথা বলেন। তার অর্থ বদলে দিয়ে নাকি বিতর্কের জন্ম দেয় সংবাদমাধ্যম ও নেট-মাধ্যম। পাশাপাশি, ‘সাহসী’ উপাধি পেতে পেতেও তিনি ক্লান্ত। বরং যা দেখানো হয়, আদপে নাকি তেমন নন তিনি।
স্বস্তিকাও প্রিয়জনের ওপরে নির্ভর করতে ভালবাসেন। কেউ তাকে আগলাবে, এমন সাধ তাঁরও জাগে। খুব ইচ্ছে করে, প্রিয়জনের ক্রেডিট কার্ড নিয়ে কেনাকাটা করতে বেরোবেন। এর পরেই তার কটাক্ষ, ‘এ সব শুনেও হয়তো মন্তব্যের বান ডাকবে! সবাই ভেবে নেবেন স্বস্তিকা রণক্লান্ত!’
স্বস্তিকা তাই নিজের ভালো বুঝতে শিখেছেন। কোনও নেতিবাচক মন্তব্য পড়েও দেখেন না। মাথাও ঘামান না। নিজেকে ভালো রাখতে যা করার সেটাই করেন। বাকিদেরও তার পরামর্শ, নিজের মতো চলতে চাইলে নিজেকে শক্তপোক্ত করতে হবে। প্রতিবাদ করতে জানতে হবে। প্রয়োজনে বাড়িতে বড়দের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। শিক্ষা সম্পূর্ণ হলে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। যাতে নিজের দায়িত্ব নিজেই নিতে পারেন। পাশাপাশি, আরও একটি বিষয় অভ্যাস করতে হবে। কী সেটা? ‘‘সকালে ঘুম ভাঙলে বিছানায় বসেই নিজেকে বলুন, ‘তোমরা যা বলো তাই বলো, আমার ওসব লাগে না মনে।’’
Discussion about this post