বর্তমান মৌসুমটা চলছে ফলের। এসময়ে আমাদের কাছে বেশ সুপরিচিত একটি ফল হলো জামরুল। আমাদের দেশে প্রায় সব জায়গায় পাওয়া যায় এই ফলটি। জামরুল সাধারণত দুই রকমের হয়ে থাকে সাদা এবং লাল।
এই ফলটি মূলত দক্ষিণ ভারত ও পূর্ব মালয়েশিয়ার। তবে এখন বাংলাদেশসহ ভারত, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায়ও ফলে। আপনি যদি পুষ্টিহীনতায় ভুগেন তাহলে প্ৰতিদিন একটি তাজা জামরুল খেলে কিছুটা হলেও পুষ্টি পূরণ হবে। আজকে আমরা জানবো জামরুলের পুষ্টিগুণ সর্ম্পকে।
জামরুলের পুষ্টি উপাদান
ক্যালরি শক্তি থাকে ১০০ গ্রাম থেকে ৫৬ গ্রাম, প্রোটিন ০.৫ থেকে ০.৭ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ১৪.২ গ্রাম, খাদ্যআঁশ ১.১ থেকে ১.৯ গ্রাম, ফ্যাট ০.২ থেকে ০.৩ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৯ থেকে ৪৫.২ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ৪ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১১.৭ থেকে ৩০ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৪৫ থেকে ১.২ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৩৪.১ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৩৪.১ মিলিগ্রাম, কপার ০.০১ মিলিগ্রাম, সালফার ১৩ মিলিগ্রাম, ক্লোরিন ৪ মিলিগ্রাম এবং পানি ৪৫.৫ থেকে ৮৯.১ গ্রাম। এছাড়াও জামরুলে সামান্য পরিমাণে পাবেন ক্যারোটিন, থায়ামিন, নাইয়াসিন, এ্যাসকোরবিক এসিড।
স্বাস্থ্য উপকারিতা
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: জামরুলে আছে প্রচুর পরিমাণের ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও শরীরের দূষিত পদার্থ বর্জন এবং মেদ নিয়ন্ত্রণ করে।
ক্যানসার প্রতিরোধ করে: এই ফলটিতে আছে ভিটামিন সি ও ফ্লাবিনয়েড যা ক্যানসার ও হৃদরোগের ক্ষেত্রে কোষের ধ্বংস করতে সহায়তা করে। শরীরের দূষিত পদার্থ দূর করে জামরুলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
রোগ প্রতিরোধে কাজ করে: দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে জামরুল বেশ কার্যকর। এই ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি। এছাড়াও জামরুল ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা সমাধানেও কাজ করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: জামরুলে অ্যান্টিহাইপারগ্লিসেমিক নামক একটি উপাদান আছে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
লিভার সুস্থ রাখে: জামরুল অত্যন্ত উপকারি একটি ফল যা লিভার ও মস্তিষ্কের সুরক্ষায় কাজ করে। এছাড়া হেপাটোপ্রটেক্টিভ নামক একটি উপাদান আছে যা লিভার কোষ ধ্বংস থেকে রক্ষা করে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়: জামরুল বেশ উপকারি একটি ফল যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। জামরুলে থাকা নিয়াসিন কোলেস্টেরল মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে।
Discussion about this post