দশমধাপের ইউপি নির্বাচনে টাঙ্গাইলের সদর উপজেলা কাকুয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সবার পরিচিত মুখ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আ. ছাত্তার আজাদ জনপ্রিয়তার শীর্ষে। ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকায় সকলের মুখে-মুখে তার নাম। ফলে আ’লীগের নতুন সম্ভবনা তৈরি হয়েছে অত্র ইউনিয়নে। তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার দুর্নীতি ও সহজ-সরল লোক এবং কর্মী বান্ধব হওয়ায় তিনি আ’লীগের প্রার্থী হলে ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবে বলে ধারনা করছেন স্থানীয় নেতা- কর্মী ও জনগন।
স্থানীয় জনগণ ও নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কাকুয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাত্তার আজাদ জনমত জরিপে জনপ্রিয়তায় সবার শীর্ষে অবস্থান করছেন। তিনি রয়েছেন অন্যদের চেয়ে সামনে। আগামি নির্বাচনে নৌকার মাঝি হতে মাঠে রয়েছেন আরো কয়েকজন। তবে তাদের মধ্যে ছাত্তার আজাদের বিকল্প নেই বলে রব উঠেছে।
মো. আ. ছাত্তার আজাদ ছাত্রজীবনে চর পৌলি মিন্টু মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ও মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজ, কাগমারী কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। বর্তমানে তিনি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, রাঙ্গাচিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি,রাঙ্গাচিরা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সভাপতি ও চর পৌলি দাখিল মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি। সাংগঠনিক দক্ষতা ও সমাজ সেবায় ২০১৮ সালে মানবিধিকার ফাউন্ডেশন কর্তৃক ”আন্তজাতিক মাতৃভাষা পদকে ভুষিত হন। তিনি ২০১২ সাল থেকে ওই ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
তিনি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। তিনি সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নের রাঙ্গাচিরা গ্রামের মো. মিজানুর রহমানের ছেলে। তার চাচাতো ভাই মো. মোজাফ্ফর হোসেন মিলিটারি ও ভগ্নিপতি হযরত মাষ্টার বীর মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধের সময় তার পরিবার পাকহানাদার ও রাজাকারদের দ্ধারা নির্যাতিন হয়।
সময়ের আলোচিত ইউপি চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মো. ছাত্তার আজাদ জানান, ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত থাকা অবস্থায় ১৯৮৩ সালে দেশসেবায় সেনাবাহিনী যোগদান করি। ২০০৭ সালে ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় চাকুরি থেকে অবসর গ্রহন করি। অবসর গ্রহন করেই পুনরায় আওয়ামী লীগের রাজনীতি শুরু করি এবং ২০১২ সালে নিজ ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হই। রাজনৈতিক জীবনে একাধিকবার নির্যাতনের শিকার হয়েছি। তবুও থেমে থাকিনি। করোনা কালীন সময়ে অসহায় মানুষের পাশে থেকে নগদ অর্থ, ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছি। পাশাপাশি রাক্ষসী যমুনার ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে সবসময় নিয়েজে নিয়োজিত রেখেছি। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকা বিজয়ী হবে ইনশাআল্লাহ।
স্থানীয় নেতা-কর্মী ও জনসাধারণ জানান, কাকুয়া ইউনিয়নে সবকটি গ্রামে আ’লীগের নেতা-কর্মীরা অতীতের চেয়ে বেশী সক্রিয়। তারা জাতীয় ও স্থানীয় দলীয় কর্মসুচীতে নৌকার সপক্ষে সদা সজাগ সতর্ক রয়েছে। আগামি ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে নেতৃবৃন্দ চুলচেরা বিশ্লেষন করে যোগ্য প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ছাত্তার আজাদকেই নৌকার মাঝি করবেন এমনটাই প্রত্যাশা করেন তৃনমুলের কর্মীরা।
কামরুল হাসান
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি