সোমবার ভোর ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সেতু বিভাগ।
রোববার (২৬ জুন) রাতে তথ্য অধিদপ্তরের এক তথ্য বিবরণীতে সেতু বিভাগের এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
রোববার ভোর থেকেই সব ধরনের যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে পদ্মা সেতু। এরপর থেকে অনেকেই বাইক ও প্রাইভেটকার নিয়ে সেতু পার হচ্ছেন। সেই সঙ্গে ট্রাক, বাসসহ বিভিন্ন ধরনের যান চলাচল করছে সেতু দিয়ে। তবে মোটরসাইকেলের উপস্থিতি দেখা গেছে সবচেয়ে বেশি।
সেতু ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রথমদিন দুপুর পর্যন্ত যেসব গাড়ি সেতু পার হয়েছে, তার মধ্যে ৬০ শতাংশ ছিল মোটরসাইকেল।
এদিকে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন মারাত্মক আহত হয়েছেন। রোববার (২৬ জুন) রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েপড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মারাত্মক আহত হয়ে দুজন সেতুর ওপর পড়ে আছেন। পাশে রক্তের ছোপ। তাদের হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
তবে পদ্মা সেতুর কোন জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার স্বপ্নের দুয়ার খুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৫ জুন) উদ্বোধন হয়েছে পদ্মা সেতুর।
প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল দিয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে টোল দেন। এরপর তার গাড়িবহর সেতু উদ্বোধনের জন্য ফলকের স্থানে যায়। প্রধানমন্ত্রীসহ অতিথিরা গাড়ি থেকে নামেন। সেখানে প্রথমে মোনাজাত করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম মোনাজাত পরিচালনা করেন।
এরপর দুপুর ১২টার একটু আগে সুইচ টিপে সেতুর ফলক উন্মোচন করেন তিনি। এর মাধ্যমেই খুলে যায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগের সড়ক পথের দ্বার।
এদিকে পদ্মা সেতুতে প্রথম ৮ ঘণ্টায় ৮২ লাখ ১৯ হাজার ৫০ টাকার টোল আদায় করা হয়েছে। এসময় গাড়ি চলাচল করেছে ১৫ হাজার ২০০টি।
সূত্র : জাগো নিউজ
Discussion about this post