দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। এই অভিনেত্রীর দাদার বাড়ি গোপালগঞ্জ। ফলে স্বাভাবিক কারণে তাকে অসংখ্যবার পদ্মা পাড়ি দিতে হয়েছে। তবে পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ায় এখন আর পদ্মা পারাপারে আগের মতো বিড়ম্বনা সইতে হবে না বলে মনে করেন জয়া। এ জন্য উচ্ছ্বসিত তিনি।
জয়া আহসান গণমাধ্যমে বলেন, ‘গোপালগঞ্জে দাদার বাড়ি যাওয়ার সময় পদ্মা পার হওয়াটাই ছিল সবচেয়ে বড় ঘটনা। স্মৃতি থেকে অন্য সবকিছু মুছে গেলেও পদ্মাকে মুছে দেয় সাধ্য কার? ছোটবেলায় সাগর দেখিনি, মনে হতো সাগর পাড়ি দিচ্ছি।’
বাংলাদেশে সব নদীর রানী পদ্মা উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী আরো বলেছেন, ‘দীর্ঘ পথে পদ্মা মর্মে মর্মে বুঝিয়ে দেয় ওর অস্তিত্ব। বুঝিয়ে দেয় সে আছে— সৌন্দর্যে, বিশালত্বে, আবেগে, বাংলাদেশের মূল ধমনি হয়ে আমাদের জীবনযাত্রায়। সেই পদ্মা নদীর দুই পার এবার যুক্ত হলো সেতুবন্ধে।’
এই অভিনেত্রীর কণ্ঠে ঝরেছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব এবং স্থির প্রতিজ্ঞার প্রশংসা। ‘পদ্মা সেতু রচনায় যে অনমনীয় নেতৃত্বের প্রয়োজন ছিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থির প্রতিজ্ঞায় বীরের মতো সেই নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই সেতু গড়ে ওঠার পথে পদে পদে ছিল বাধা। অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু প্রধানমন্ত্রীর অনমনীয় সংকল্পের এক অমোঘ চিহ্ন।’ বলেন তিনি।
জয়া আহসান আরো বলেন, ‘পদ্মা সেতু ভবিষ্যতে আমাদের কী দেবে সেটা পরের কথা। আপাতত আমাদের হারিয়ে যাওয়া সাহস ফিরিয়ে দেওয়াই এর সবচেয়ে বড় কীর্তি।’
Discussion about this post