টাঙ্গাইলের মধুপুরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২৮ জুন) সকালে উপজেলার গোলাবাড়ি ইউনিয়নের লোকদেও গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ঘাতক স্বামী গোলাপ হোসেন, প্রথম স্ত্রী(সতীন) হাছনা বেগম(৪৮)ও তার সন্তান হাসান(২৮)সহ বেশ কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে। মধুপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুরাদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত শেফালি বেগম (৪৫) ওই গ্রামের গোলাপ হোসেনের পঞ্চম স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গোলাপ হোসেন পাঁচটি বিয়ে করলেও বর্তমানে দুই স্ত্রী রয়েছে। বাকি তিন স্ত্রী তালাক প্রাপ্ত হয়ে চলে গেছে। প্রথম স্ত্রী হাছনা বেগম(৪৮) ও পঞ্চম স্ত্রী শেফালি বেগম(৪৫)। পারিবারিক কলহের জের ধরে গত এক সপ্তাহ পূর্বে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেন গোপাল হোসেন। পরে স্থানীয় লোকজন শালিসী বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় প্রথম স্ত্রীর সকল পাওয়ানা পরিশোধ করতে। এক পর্যায়ে প্রথম স্ত্রী একটি ঘর বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়। ঘরটি পাঁচ হাজার টাকা দাম করে পঞ্চম স্ত্রী রেখে দিতে চাইলেও তাতে দ্বিমত পোষণ করেন প্রথম স্ত্রী ও সন্তান। এক পর্যায়ে সোমবার সন্ধ্যায় তাদের দুই সতীনের মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথম স্ত্রীকে দেখে নেয়ার হুশিয়ারি দেয় ওই পঞ্চম স্ত্রী। এরপর প্রথম স্ত্রী ও তার সন্তান বাড়ি থেকে গিয়ে এক প্রতিবেশির বাড়িতে রাত্রীযাপন করেন। মঙ্গলবার সকালে প্রথম স্ত্রীর সন্তান হাসান তার বাবাকে বাড়িতে ডাকতে গেলে পঞ্চম স্ত্রীর ক্ষতবিক্ষত লাশের পাশে বাবা গোলাপ হোসেনকে দেখতে পায়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরে স্থানীয়রা পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানা নিয়ে যায়।
গোলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বাবলু জানান, বিষয়টি আমি জানার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মরদেহ পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে পরিবারিকভাবে দাফন করা হবে।
এ বিষয়ে মধুপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুরাদ হাসান জানান, আমরা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত শেফালি বেগমের ক্ষতবিক্ষত মরদেহটি উদ্ধার করি। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর পক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় স্বামী, সতীন ও সন্তানসহ বেশ কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। মামলা পক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
কামরুল হাসান
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
Discussion about this post