আবুল কাশেম রুমন,সিলেট : ঈদকে টার্গেট করে সিলেটের সীমান্তগুলোতে প্রতিদিন আসছে ভারত থেকে গরু। সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাকারবারিদের দৌরাত্ম বেড়েছে লাগামহীন। বিশেষ করে গোয়াইঘাট ও জৈন্তাপুর সীমান্ত চোরাচালানের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করছে চোর চক্র। এই দুই সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া না থাকায় সীমান্ত পথে দিন-রাতে ভারত থেকে ¯্রােতের মতো আসছে গরুসহ চোরাইপণ্য। হরহামেশাই ঢুকছে মাদক, গোলাবারুদের চালান। এই চোরাচালানের সাথে জড়িত রয়েছে একাধিক সিন্ডিকেট। তারা দায়িত্বরতদের ‘ম্যানেজ’ করে নিরাপদে এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঝে মধ্যে লোক দেখা অভিযান চালিয়ে চোরাই গরুসহ মালামাল আটক করলেও ধরাছোঁয়ার বাহিরে থেকে যায় মূলহোতারা। এসব তথ্য জানিয়েছেন সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা।
০১ লা জুলাই গোয়াইঘাট উপজেলার রুস্তুমপুর ইউনিয়নের বিছনাকান্দি সীমান্ত থেকে একটি চোরাই গরুর চালান আটক করে বিজিবি। এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বিজিবি ৪৮ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, আটককৃত ২৪টি ভারতীয় গরুর বাজার মূল্য প্রায় ২৭ লাখ টাকা।
জানা যায়, ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির জন্য গোয়াইঘাটের বিছনাকান্দিতে দিয়ে প্রতিদিন দেশে আসছে অসংখ্য গরু। সীমান্ত পেরোনোর পর কিছুটা নৌপথ ও কিছুটা সড়কপথ ভ্রমণ শেষে শহরে প্রবেশ করেছে গরুগুলো। কেবল বিছনাকান্দি দিয়েই প্রতিদিন প্রায় পাঁচশ গরু অবৈধ ভাবে দেশে আসছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
Discussion about this post