প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘হোয়াংহো আর চীনের দুঃখ নাই। আমি চাই- খালও আর নোয়াখালীর দুঃখ হয়ে থাকবে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘নোয়াখালীর উপকূলীয় এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এসব প্রকল্পের উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নও হবে। বাস্তবায়ন করা হবে নদী ড্রেজিংসহ খাল খনন কর্মসূচি’। তিনি আরও বলেন, ‘যখনই আমি নোয়াখালী গিয়েছি, তখনই আমি শুনেছি- নোয়াখালী খালের কথা। এই খালটা কেটে দিলে জলাবদ্ধতা দূর হবে। এটা আমাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল, আমরা খালটা করে দেব’।
৩২৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের আওতায় জলাবদ্ধতা নিরসন, বন্যানিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশনব্যবস্থা উন্নয়নে নোয়াখালী খাল এবং জেলার ২৩টি খালের পুনঃখনন করা হবে। সেই সঙ্গে ১৬০ বর্গকিলোমিটার এলাকার পানি নিষ্কাশনব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় ১৮২ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন, বামনি নদীতে ড্রেজিং, স্লুইচগেট, ক্লোজার ও রেগুলেটর নির্মাণ এবং ১০ কিলোমিটার নদীতীর সংরক্ষণ করা হবে।
এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন হবে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে প্রকল্পের বাস্তবায়ন করবে। ভিডিও কনফারেন্সের ঢাকা প্রান্তে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন নোয়াখালীর এমপি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া নতুন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক।
আর নোয়াখালী প্রান্তে জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদারসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post