আবুল কাশেম রুমন,সিলেট : সিলেটে জুড়ে চারিদিকে এখনও বন্যার পানি, নেই ঈদের আনন্দ। প্রতি বছর কোরবানির গরুর হাট জমে উঠলে। এ বছর তেমন কোন পশুর হাট বাজার জমে উঠেনি। গরু ও ছাগল বাজরে থাকলে বিক্রেতারা ক্রেতা শুন্যতায় ভূগছেন তাছাড়া দামও রয়েছে চড়া।
কোরবানির ঈদ আগামী ১০ জুলাই দেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আযহা। পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছেন পশুর ব্যাপারী ও খামারিরা। ব্যাপারীরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে গৃহস্থ ও খামারিদের কাছ থেকে গরু কিনছেন। অনেক গৃহস্থ ও খামারি সরাসরি হাটে নিয়ে গরু বিক্রির প্রস্তুতিও নিয়ে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন। কিন্তু এখনো জমে উঠেনি গরু বাজার।
বন্যা কবলিত এলাকায় গরু হাট বাজারে গরু, ছাগল পানির মধ্যে বেচা কেনা করতে দেখা যায়।
বিশেষ করে উপজেলা জুড়ে বন্যার পানি থাকায় সকলেই বন্যা মোকাবেলায় ব্যস্ত থাকায় কুরবানী দেওয়া নিয়ে চিন্তার মধ্যে আছেন। খামারি-ব্যাপারীরা বলছেন, পশুর এবার বেশি পাবেন কিন্ত ক্রেতা পাচ্ছেন না। ছয় মাস আগে গরুর দাম যেটা ছিল এখন প্রায় দ্বিগুণ কমেছে। সকল খামারিদের এবার লোকসান দিতে হবে। সারা বছর পশুর জন্য যে টাকা খরচ করেছেন তা এবার পাবে না তো আরো কমদামে পশু বিক্রয় করতে হবে। এখনো অনেক গরুর বাজারে পানি থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতারা পশু নিয়ে আসতে পারছেন না আবার ক্রেতাগন দেখে শুনে পশু ক্রয় করতে পারছেন না।
Discussion about this post