‘বেশি পশু কোরবানিই প্রমাণ করে মানুষের সামর্থ্য বেড়েছে’

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর আট লাখের বেশি গবাদিপশু কুরবানি হয়েছে। বেশি কুরবানির পশু জবাই হওয়া প্রমাণ করে যে মানুষের সামর্থ্য বেড়েছে। একইসাথে এ বছর বাংলাদেশের গবাদিপশু দিয়ে কুরবানি হয়েছে এবং অনেক গবাদিপশু ফেরত গেছে। অর্থাৎ আমাদের প্রয়োজন নিজেরাই মেটাতে পারছি।

বুধবার (১৩ জুলাই) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ পুস্তিকার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ‘বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ পুস্তিকার মোড়ক উন্মোচন করেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব মকবুল হোসেন, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের (ডিএফপি) মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়া, চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মুহা. সাইফুল্লাহ, ডিএফপি’র পরিচালক মোহাম্মদ আলী প্রমুখ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

পুস্তিকাটি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, সরকার শুধু স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে তা নয়, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে দেশকে গড়ে তুলতে চান। সেজন্য সরকার ২০৩০ সাল নাগাদ, ২০৪১ সাল নাগাদ পরিকল্পনা, ২১০০ সাল নাগাদ বদ্বীপ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আমাদের দেশে লোকসংখ্যা ২০৫০ সাল নাগাদ দাঁড়াবে ১৯ কোটির মতো। তবে ২১০০ সাল নাগাদ দেশে লোকসংখ্যা কমে ১৫ কোটির কাছাকাছিতে দাঁড়াবে- এমনটিই বলছে পরিসংখ্যান।

তিনি বলেন, ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাসসহ জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত আমাদের নিত্যসঙ্গী। সেই বাস্তবতার নিরিখে যদি এখন থেকে পরিকল্পনা না থাকে তাহলে দেশকে সমৃদ্ধিশালী করলেও সেটি টেকসই করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। সেই কারণেই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। পুস্তিকাটিকে ইংরেজিতে প্রকাশের জন্য ডিএফপিকে অনুরোধ জানাই।

তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মকবুল হোসেন বলেন, বাংলাদেশকে টেকসইভাবে উন্নতির দিকে এগিয়ে নিতে প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য দূরদর্শিতার পরিচায়ক। পুস্তিকাটি এই বৃহৎ পরিকল্পনাকে মানুষের সামনে সহজভাবে উপস্থাপন করতে অত্যন্ত সহায়ক হবে।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন